× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাটোরে সিরিয়াল কিলার বাবু শেখসহ ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণ

অনলাইন

নাটোর প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ২০, ২০১৯, রবিবার, ৪:৩৫ পূর্বাহ্ন

নাটোরের রেলওয়ে প্লাটফর্ম থেকে ৮টি হত্যা মামলার আসামী সিরিয়াল কিলার বাবু শেখসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংএর মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম বার।

প্রেস ব্রিফিং-এ জানানো হয় গত ৯ই অক্টোবর নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জয়ন্তীপুর এলাকার রেহেনা বেগম (৬০) ও লালপুর উপজেলায় চংধুপইল এলাকার আনসার সদস্য সাবিনা পারভীন সাহেরাকে হত্যা করা হয়। এ দুটি ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে গত ১৫ই অক্টোবর পুলিশ সিংড়া থেকে রুবেল আলীকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যমতে একই দিন লালপুর উপজেলায় চংধুপইল থেকে চুরি করা স্বর্নালংকার ক্রেতা নাটোর শহরের স্বর্ন ব্যবসায়ী লিটন খাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দুইজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৬ই অক্টোবর নাটোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসাদুলকে গ্রেফতার করা হয়। আসাদুল জানায় চুরি করার সময় তার সাথে রুবেল আলী ও বাবু শেখ ছিল।
পরে ১৯ই অক্টোবর সন্ধ্যায় একই স্থান থেকে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার ওরফে বাবু শেখ ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বাবু শেখ স্বীকার করে যে সে নাটোরের লালপুর, বাগাতিপাড়া, বাঁশিলা, নলডাঙ্গা,সিংড়া ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল গ্রামের রুপ বানু হত্যা ও সখিপুর থানার তক্তারচাল এলাকার সমলা হত্যা এবং নওগাঁ জেলা সদরসহ ৮ টি হত্যকান্ড সংঘটিত করেছে। তবে সে নি¤œ মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্ত পরিবারের মহিলাদের হত্যা করে আসছিল। তারা মৎস্য শিকারীর (জেলে) বেশে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় ও চুরির পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক সহযোগিদের সাহায্যে সুবিধাজনক বাড়িতে প্রবেশ করে ধর্ষণ শেষে হত্যা ও চুরি করে। সিরিয়াল কিলার বাবু শেখ নওগাঁ জেলার রাণীনগর থানার মৃত জাহের আলীর ছেলে। অত্যধিক চুরি করায় অতিষ্ঠ হয়ে তাকে এলাকাবাসী গ্রাম ছাড়া করেছিল। সে মাছ ধরার চেয়ে হত্যাকে অনেক সহজ মনে করে। ডিআইজি জানান , এ ধরণের একজন হত্যাকারী বাহিরে থাকলে আরো অনেক হত্যাকান্ড ঘটাতে পারতো। তাকে গ্রেফতার করে ৮ টি মামলার জট খোলায় তিনি নাটোরের পৃলিশ প্রশাসনকে ধণ্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রেস ব্রিফিং শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বড়াইগ্রাম সার্কেল হারুন-অর রশিদ, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর