নড়াইলের লোহাগড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় শিশু রমজানকে খুন করেছে তার খালাতো বোন। অভিযুক্ত খালাতো বোন মীম আক্তার (১৩) সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। শিশু শ্রেণিতে পড়ত রমজান (৭)। লোহাগড়া পৌর এলাকার সিংগা গ্রামে নানাবাড়িতে তারা বসবাস করতো। মীমকে ডিম বলে প্রায়ই ক্ষ্যাপাতো রমজান। গত বুধবার দুপুরে ক্ষ্যাপাতে থাকলে রমজানকে মীম মারপিট করে। রমজান বাড়ির উঠানে পড়ে গেলে গলা চেপে ধরে মীম। এতে শ্বাসরোধ হয়ে রমজানের মৃত্যু হয়।
এরপর রমজানের মামি পুতুল বেগম কোলে করে নিয়ে লাশ ফেলে আসে পার্শ্ববর্তী নালায়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নড়াইলের আমলি আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদার কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মীম। গত বুধবার বিকালে সিংগা গ্রামের একটি বাগানের পাশে নালায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। খুনের ঘটনায় শিশুটির নানা হাবিবুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করেন। পুলিশ এর আগে শিশুটির বাবা, মামা, খালা ও খালুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, শিশুটির মা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মাবিয়া আক্তারের সঙ্গে বাবা ইলিয়াস হোসেন ইলু শেখের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মাবিয়া। সামাজিক চাপে ইলিয়াস বিয়ে করে মাবিয়াকে। বিয়ের এক মাস পর জন্ম হয় রমজানের। জন্মের পর শিশু রমজানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই ছিলেন মাবিয়া। তিন বছর আগে হৃদরোগে মারা যান মাবিয়া। এরপর নানাবাড়িতে অযত্ন, অবহেলা ও মারধরের শিকার হয়ে বড় হচ্ছিল রমজান।
এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মিলটন কুমার দেবদাস বলেন, ‘প্রথম থেকেই স্বজনদের দিকে সন্দেহের তীর ছিল। সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মীম আক্তার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়। পরে ১৬৪ ধারায় আদালতে তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।