× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আম্পায়ারকে গালি দিয়ে জরিমানা নাসির-অপুর

খেলা

ইশতিয়াক পারভেজ
২১ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার

জাতীয় ক্রিকেট লীগের দ্বিতীয় রাউন্ডে জরিমানা গুনতে হচ্ছে রংপুর বিভাগের অধিনায়ক নাসির  হোসেনকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মাঠে আম্পায়ারকে গালি  দেয়ার। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ  চৌধুরী স্টেডিয়ামে রংপুরের প্রতিপক্ষ ঢাকা বিভাগের স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুও ঘটিয়েছেন একই ঘটনা। তিনিও আম্পায়ারকে গালি দিয়েছেন, করেছেন দুর্ব্যবহার। দু’জনই জাতীয় দল  থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটার। মাঠের আম্পায়াররা ম্যাচ রেফারির কাছে বিষয়টি রিপোর্ট করে আনুষ্ঠানিকভাবে। গতকাল ম্যাচ  শেষে তাদের জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি সামিউর রহমান। নাসিরকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে ম্যাচ ফির ২৫% ও অপুকে ২০ শতাংশ।
ম্যাচ রেফারি সামিউর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী  স্টেডিয়ামে রিজার্ভ আম্পায়ার আসাদুর রহমানকে গালি  দেয় নাসির  হোসেন। এছাড়াও এই ম্যাচেই ঢাকার স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুও একই ঘটনা ঘটান। মাঠে তাদের আবেদনে সাড়া না  দেয়ায় দু’জনই আম্পয়ারদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। আমি ম্যাচ  শেষে লেভেল-১এ আচরণবিধি ভঙ্গ করার কারণে নাসিরকে ২৫ ও অপুকে ম্যাচফির ২০ সতাংশ জারিমানা করেছি। তবে আমি তাদের শুনানিতে ডাকিনি।

জানা  গেছে রংপুরের  লেগ স্পিনার তানভির হায়দার ঢাকার জয়রাজ  শেখ ইমনের বিপক্ষে এলবিডাব্লিউর আবেদন করেন।  সে সময় মাঠে ছিলেন রিজার্ভ আম্পায়ার আসাদুর রহমান। তিনি আপিলে সারা  দেননি। তাই রংপুরের অধিনায়ক নাসির হোসেন প্রথমে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গালিও  দেন। এই বিষয়ে রিজার্ভ আম্পায়ার আসাদুর রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, ঘটনা সত্যি। আমি নিয়ম অনুসারে ঘটনাটি ম্যাচ  রেফারিকে জানিয়েছি। তিনিই ব্যবস্থা নিবেন। কি বলেছিল বা কি হয়েছিল  সেই ঘটনার বর্ণনা আমি দিতে পারবো না।’ আর ঘটনা নিয়ে নাসির  হোসেন বলেন, ‘আসলে  তেমন কিছুই হয়নি। আমি আপিল করেছিলাম। এরপর সামান্য ভুল বোঝাবোঝি হয়েছে। আমি দুঃখিত, আবারো বলছি বিষয়টি একেবারেই ভুল বোঝাবোঝি ছিল। এমন  ছোট  ছোট ঘটনা হয়ই।’ এছাড়াও  নাসির  হোসেনের বিরুদ্ধে আছে নানা অভিযোগও। বিশেষ করে রংপুরের অধিনায়ক অনেকটা মজার ছলেই একই ওভারে করেন স্পিন ও  পেস বল। রংপুরের টিম ম্যানেজমেন্টে যা অনেকেরই পছন্দ নয়। দলের একটি সূত্র জানায়, ‘নাসির একই ওভারে তিনটি স্পিন ও তিনটি  পেস বল করে গত ম্যাচে। আমরা আসলে বিষয়টি ভালোভাবে  নেইনি।  কোচও ভালভাবে  নেয়নি। আসলে একই ওভারে দুই ধরনের বল করা অবৈধ নয়। কিন্তু এইগুলো পাড়া-মহল্লাতেই  বেশি  দেখা যায়। জাতীয় ক্রিকেট লীগের মতো সিরিয়াস ম্যাচে মজা করে এমন বল করা ঠিক নয়।’

অন্যদিকে ঢাকার স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ব্যাটসম্যান জাহিদুল হকের বিপক্ষে এলবিডাব্লিউর আপিল করেছিলেন। কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার তার আবেদনে সারা  দেননি। তাতেই অপু  ক্ষেপে গিয়ে দুর্ব্যবহার করেন আম্পায়ারের সঙ্গে। যদিও গালি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন  অপু। তিনি বলেন, ‘আসলে নিশ্চিত আউট ছিল, আম্পায়ার  দেননি। তাই একটু  রেগে গিয়েছিলাম। তবে আমি  গালি  দেইনি। আর ম্যাচ  রেফারি আমাকে ডাকেননি  যে আমার আত্মপক্ষ সমর্থন করবো। হ্যাঁ, একটু মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আমার উচিত হয়নি রাগারাগি করা। কিন্তু এটি সত্যি করেই বলছি গালি  দেয়নি।’

নাসির  হোসেন ইনজুরি ও নাজমুল অপু অফফর্মের কারণে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন।  দু’জনের লক্ষ্য জাতীয় লীগে ভালো করে দলে  ফেরার। কিন্তু মাঠের এমন ঘটনা তাদের জন্য সমস্যাই তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন দুই বিভাগের কর্মকর্তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর