২০১৯ সালে বিয়ে করবেন, এই ঘোষণা চলতি বছরের শুরুতেই দেন টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। শনিবার ১৪ বছর পরিণয়ের পর প্রেমিকা সমাজকর্মী ম্যারি জিসকা পেরেয়োর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধও হন নাদাল। কিন্তু ‘কিং অফ ক্লে’ খ্যাত নাদালের বিয়ের খবর ফলাও করে ছাপা হয়নি কোথাও। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন এই জুটি। সাবেক নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা নাদাল জানান, ‘পেরোয়ার ইচ্ছাতেই ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠান করেছি।’ পুরুষ একক টেনিসে দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৯টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার মালিক রাফায়েল নাদাল পেরোয়ার সঙ্গে ২০০৫ সালে সম্পর্কে জড়ান। তাদের মধ্যে গভীরতা বাড়ে নাদালের চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের কল্যাণে। ৩১ বছরের পেরোয়াকে এই ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর পদে নির্বাচিত করেন নাদাল। রাফায়েল নাদাল ২০১১ সালে মর্যাদাপূর্ণ ‘লরিয়াস স্পোর্টসম্যান অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জেতেন।
স্প্যানিশ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিছুদিন আগে রেকর্ড ৩৫টি এটিপি ট্যুর জয়ী নাদাল বলেন, ‘গতবছরের অক্টোবরে রোমে পেরেয়োর সঙ্গে ছুটি কাটাতে যাই।
তখন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে নিঃসঙ্কোচে রাজি হয়ে যায়। তখনই সিদ্ধান্ত নেই ২০১৯এ বিয়ে করবো।’
মায়োর্কোর লা ফোরতালেজাতে মাত্র ৩৫০ জন অতিথি ব্যতীত আর কেউই ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি অনুষ্ঠানে। যার ফলে বিয়ের কোনো ছবিও প্রকাশ করতে পারেনি স্পেনের গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন স্পেনের প্রাক্তন রাজা হুয়ান কার্লোস। টেনিস কোর্টের প্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেদেরারের সঙ্গে নাদালের বর্তমানে দারুণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তবে ফেদেরার জানান, ‘আমি তার বিয়ের খবর শুনেছি। তবে এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো আলোচনা হয়নি।’ ইনজুরির কারণে আপাতত টেনিস কোর্ট থেকে দূরে রয়েছেন নাদাল। তবে আগামী বছরের সাংহাই ওপেন দিয়ে কোর্টে ফেরার আশা করছেন এ স্প্যানিশ টেনিস তারকা।