× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২১ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত সাত বছরেও শেষ না হওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী  ৬ই নভেম্বর মামলার সব নথিপত্রসহ তদন্ত কর্মকর্তা  র‌্যাবের এএসপি মহিউদ্দিনকে স্বশরিরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে, তানভীর রহমানের ক্ষেত্রে ওই মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযোগ ওঠায় তানভীর রহমানের নামের এক ব্যক্তির মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে আদালত এই আদেশ দেন। এ দিন আদালতে তানভীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও অ্যাডভোকেট ওয়াহিদা ইদ্রিস, ফিরোজা পরভীন লাকী ও মো. শরিফুল হক। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরওয়ার হোসেন বাপ্পী।
তানভীরের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, এখন পর্যন্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন না হওয়ায় আমাদের প্রার্থনা ছিল এ ব্যক্তি কত বছর আদালতে যাবেন। মামলার তদন্ত শেষ করে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়া উচিত।
বিচার শুরু হওয়া উচিত। বিচার শুরু করতে না পারলে তাকে অব্যাহতি দেয়া উচিত। এটা শুনে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ৬ই নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার সব কাগজপত্র নিয়ে আদালতে হাজির এবং তানভীরের মামলা বাতিলের বিষয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ আট বছরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে। আদালত বলেছেন, তদন্ত শেষ হবে কবে? তদন্ত কি অনন্তকাল ধরে চলবে। শুনানি নিয়ে আদালত তানভীরের ক্ষেত্রে মামলাটির কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না এ মর্মে রুল দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন।
এদিকে, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তানভীর রহমান গ্রেপ্তারের ২৬ মাস পর জামিনে কারাগার থেকে বের হন। তানভীরের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে। তিনি ঢাকার উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে থাকেন। তানভীর রহমান ২০১২ সালের ১ অক্টোবর তার কর্মস্থল স্কলাসটিকা স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় উত্তরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। এরপর ৯ই অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তানভীর নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ২০১৪ সালে হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান। একই বছরের ডিসেম্বরে তিনি মুক্তি পান।
নথি থেকে আরো জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন মেহেরুন রুনির ছোট ভাই নওশের আলম। কিন্তু ওই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৬৮ বার সময় নিয়ে জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর