× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বারান্দায় চলছে পাঠদান

বাংলারজমিন

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে
২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

 কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলে অবস্থিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কয়েকটি চরাঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীর আশা আর ভরসা জড়িয়ে আছে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। দুর্গম এই চরাঞ্চলের প্রতিষ্ঠানটি আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে নিজেই ভেঙে পড়েছে। নেই অবকাঠামো, নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, নেই আর নেইয়ের মধ্যে দিনে দিনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে পাঠদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম। জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে চরাঞ্চলের ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য উপজেলার নয়ারহাটের ফেসকার চরে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এবং ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুলটি কলেজে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সঠিক নজরদারির অভাবে নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
দিনে দিনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি শ্রেণিকক্ষসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অবকাঠমো। অবকাঠামো আর শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই বারান্দায় এবং বাইরে পাঠদান ও পরীক্ষার কার্যক্রম চালাচ্ছে। বারান্দায় এবং বাইরে পাঠদানের ফলে শিক্ষার্থীদের সঠিক ভাবে পাঠদান করা যাচ্ছে না বলে জানান ক্লাস শিক্ষকগণ। শিক্ষকরা আরো জানান, চলতি টেস্ট পরীক্ষাও প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় নিতে বাধ্য হচ্ছি। ফলে পরীক্ষা দিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এস এন সজীব আহম্মেদ ও শতাব্দী জাহান পুতুল জানান, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বারান্দায় আবার কখনো বাইরে ক্লাস করতে হয়। বাইরে ক্লাসের কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়াও টয়লেটটিও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অভিভাবকগণ বলেন, ক্লাসরুম সংকটের কারণে একদিকে যেমন পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে, অপরদিকে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করতে না পারায় পিছিয়ে পড়ছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. জহুরুল ইসলাম মণ্ডল জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষ ও অবকাঠামো সংকটের কারণে পাঠদান ও পরীক্ষা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
সংস্কারের অভাবে একমাত্র খেলার মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৭৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ২৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, এখানে কয়েকটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি চরের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা দিন দিন নাজুক হওয়ায় বেহাল দশা দেখা দিয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর