× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব তীব্র হয়েছে

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও তা এ বছর তীব্র আকার ধারণ করেছে। সর্বশেষ কাশ্মীরে গুলি নিক্ষেপের জন্য একে অন্যকে দায়ী করেছে। বলেছে, প্রতিপক্ষ নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে হামলা চালিয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হয় ২০০৩ সালে। তারপর থেকেই এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে ওই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। এতে প্রাণ দিচ্ছেন উভয় দেশের সাধারণ মানুষ ও সেনা সদস্যরা। এরই মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধর এই প্রতিবেশী দুটি যুদ্ধ করেছে। কাশ্মীর নিয়ে একটি সংঘাতকে সীমাবদ্ধ করেছে।
এ বছরে এই বিরোধ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। একটি পরিপূর্ণ যুদ্ধের খুব কাছ থেকে ফিরে আসে তারা। ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলা হয়। তাতে নিহত হন ভারতের ৪০ জন সেনা সদস্য। এর জবাবে ভারতের দাবি অনুযায়ী, পাকিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালায় ভারত। ওদিকে পাকিস্তানভিত্তিক জৈশ-ই-মোহাম্মদ ওই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
আগস্টে কাশ্মীরের অংশবিশেষ ভারত তার অধীনে পুরোপুরি নিয়ে নেয়। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর এতদিন স্বায়ত্তশাসন ভোগ করতো। ৫ই আগস্ট তা বাতিল করে ভারত। এর কড়া প্রতিবাদ ওঠে পাকিস্তান থেকে। এ সময় থেকেই ভারতের এমন পদক্ষেপকে বেআইনি আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে তদবির করে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
দিল্লি ও ইসলামাবাদ উভয়েই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে। তবে দুই দেশ এর অংশবিশেষ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ বছর এ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে সীমান্তে বড় ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি। সর্বশেষ রোববার কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় তিতওয়াল এবং ট্যাঙহারে ভারী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশই আলাদা আলাদাভাবে এ ঘটনাকে বর্ণনা করছে। ভারত অভিযোগ করছে, পাকিস্তান বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করেছে। এতে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন, জঙ্গিদের টার্গেট করে প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত। এতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে। তাদের তিনটি ক্যাম্প ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তান এ বছর সীমান্ত অতিক্রম করে উস্কানি ছাড়াই ২০০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে নিহত হয়েছেন ২১ ভারতীয়।
ওদিকে পাকিস্তান বলছে, ২০১৯ সালে সীমান্তজুড়ে ভারতীয় সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে কমপক্ষে ৪৫ জনকে। এর মধ্যে ১৪ জন সেনা সদস্য রয়েছেন।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর