× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেরপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে

বাংলারজমিন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

বগুড়ার শেরপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের বিলনোথার মধ্যপাড়া গ্রামের দুদু তরফদার বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে গত রোববার বিকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া লম্পট গৃহশিক্ষককেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বিলনোথার মধ্যপাড়া গ্রামের দুদু তরফদার ও তার স্ত্রী ফুলি বেগম তাদের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে (১২) তার বৃদ্ধ নানী কমলা বেওয়ার হেফাজতে রেখে ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করছেন। পাশাপাশি মেয়েকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য গৃহ শিক্ষক দেন। একই গ্রামের ওই শিক্ষকের নাম মো. মিনহাজুল ইসলাম। নিজ বাড়িতে নিয়মিত ওই ছাত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে পড়ালেখা শেখাতো। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ই অক্টোবর সন্ধ্যারাতে সেসহ আরো কয়েকজন ছাত্রী শিক্ষক মিনহাজুল ইসলামের বাড়িতে পড়ছিল।
কিন্তু লম্পট শিক্ষক শুধু তাকে রেখে অন্যদের আগেই ছুটি দিয়ে দেন। এ সময় ওই ছাত্রী বাড়ি যেতে চাইলে তাকে ছুটি না দিয়ে পড়তে বলেন। কিছু সময় পর ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা দুদু তরফদার জানান, তার মেয়ের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এলে মেয়েটি রক্ষা পেলেও চরম ভয় পেয়েছে। তাই ওই লম্পটের বাড়ি থেকে বই-খাতা নিয়ে দৌড়ে বাড়িতে চলে আসে। তবে পরদিন ঢাকা থেকে বাড়িতে গেলে মেয়ে তাদের কাছে ঘটনাটি জানায়। এ ছাড়া ঘটনাটি তার গ্রামেও জানাজানি হয়। একপর্যায়ে সব বাধা উপেক্ষা করে লম্পট গৃহশিক্ষক মিনহাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর