আন্দোলনকারীদের দমনের সময় মসজিদ প্রাঙ্গণে জলকামান ব্যবহারে বাধ্য হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন হংকং-এর প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। রোববার রাতে সেখানে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন থামাতে জলকামান ব্যবহার করে হংকং পুলিশ। এ ঘটনারই প্রেক্ষিতে ক্যারি লাম হংকং-এর মুসলিম কমিউনিটির কাছে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ঘটনার পরদিন ভোরেই ক্যারি লাম ওই মসজিদটি পরিদর্শন করেন। এসময় মুসলিমদের অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিনি গলায় শাল পরিধান করেন। সেখানে ইসলামপন্থি নেতাদের কাছে তিনি গতরাতের ঘটনার জন্য দুঃখিত হয়েছেন বলে জানান। আলোচনায় মুসলিম কমিউনিটিকে ধন্যবাদ দিয়ে বেশ কয়েকবার পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ঘটনাটি ঘটে হংকং-এর সব থেকে বড় মসজিদের সামনে। কোলুন মসজিদের সামনে বিক্ষুব্ধরা জড়ো হলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে তাদেরকে হটিয়ে দেয়। এসময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। মসজিদে নামাজ পড়ার সময় এমন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সেখানকার মুসলিমরা। তবে এক বিবৃতিতে ক্যারি লাম জানান, মুসলিম কমিউনিটি এই শহরকে নিজেদের বাড়ি মনে করে এবং অন্য কমিউনিটিগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানে তারা সবসময়ই সহায়তা করে আসছে।
ক্যারি লামের পাশাপাশি আলাদা বিবৃতিতে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে হংকং পুলিশও। এতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাবশত মসজিদে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। হংকং পুলিশ সকল ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।
এদিকে মসজিদের প্রধান ইমাম মুহাম্মদ আরশাদ জানিয়েছেন, তারা ক্যারি লামের দুঃখ প্রকাশটি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মুসলিমরা হংকং-এ শান্তিপূর্ণভাবে বেঁচে থাকতে চায়। ঘটনার সময় নামাজ পড়ছিলেন ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আহসান। তিনি রয়টার্সকে বলেন, এটি দুর্ঘটনাবশত হয়ে গেছে। তারা এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধরা মসজিদের গেটে জড়ো হয়েছিলো। তাই পুলিশকে তাদের দায়িত্ব পালন করতেই হয়েছিলো।