× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাঁচ বছরের কারাদণ্ড কারাগারে হারুন

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা নিয়ে পরবর্তীতে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ এ রায় দেন। হারুন ছাড়াও এ মামলায় পলাতক আসামি চ্যানেল ৯ এর এমডি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে  ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় এমপি হারুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, দুর্নীতির এ মামলায় বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমানকে দুই বছর এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। হারুন অর রশীদ ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।  

নথি থেকে জানা যায়, হারুন জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে ক্রয় করে। গাড়িটি তিনি পরে আরেক আসামি ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পির কাছে বিক্রি করেন। নিয়ম অনুযায়ী শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়, কিন্তু আসামি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেন। এ অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ই মার্চ তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক ইউনুছ আলী মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০০৭ সালেরে ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিভিন্ন সময়ে এ মামলায় ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর