× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৫ লাখ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ঋণগ্রহীতাদের উন্নয়নের জন্য নতুন হেলথ কেয়ার সল্যুশন

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ২২, ২০১৯, মঙ্গলবার, ৫:৪২ পূর্বাহ্ন

সুবিধাবঞ্চিত ৫ লাখ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ঋণগ্রহীতাদের উন্নয়নের জন্য নতুন হেলথ কেয়ার   সল্যুশন  প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত টেলিনর গ্রুপের ডিজিটাল হেলথ সাবসিডিয়ারি টেলিনর হেলথ এবং বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করা বেসরকারী সংস্থা শক্তি ফাউন্ডেশন সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক মেডিক্যাল টেকনোলজি ফোরাম ২০১৯-এ অংশগ্রহণ করে।
 বাংলাদেশের ৭ম বৃহত্তম  ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শক্তি ৫৪ জেলার ৫ লাখ ২০ হাজার ৮শ’ ৩৪টি দরিদ্র পরিবারের তালিকা তৈরি করেছে এবং প্রতিষ্ঠানটির গ্রামের দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করার সামর্থ্য রয়েছে। সারা বাংলাদেশে শক্তি ফাউন্ডেশন ৪১৬ শাখা নিয়ে গত ২৭ বছর ধরে ক্ষুদ্রঋণ, হেলথ, এসএমই ও সৌর আলো-এর মতো কর্মসূচির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে।টেলিনর হেলথ এবং শক্তি ফাউন্ডেশন গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নতুন স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তুলতে উন্নয়ন ও গবেষণার কাজ করছে। ‘ডিজিটাল হেলথ কেয়ার ইনোভেশন্স- ইমপ্রুভিং হেলথ একসেস ফর দ্য রুরাল অ্যান্ড লোয়ার ইনকাম পপুলেশন্স’ শীর্ষক একটি সেমিনারে টেলিনর হেলথ তাদের ডিজিটাল হেলথ কেয়ার উদ্ভাবনসমূহ এবং কীভাবে গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে। এছাড়া টেলিনর হেলথ এবং বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান শক্তি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনে কীভাবে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে তা নিয়েও আলোচনা করে। টেলিনর হেলথ-এর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে তারা বাংলাদেশের স্বনামধন্য নিরাপত্তা সমাধান প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এলিট ফোর্সের সাথে কাজ করছেন। এর মাধ্যমে সারাদেশে ২০ হাজার নিরাপত্তারক্ষীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়, যা তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে এবং সুস্বাস্থ্য অর্জনে সহায়তা করছে।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে টেলিনর হেলথ-এর সিইও সাজিদ রহমান বলেন, “আমরা আশা করি শক্তি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সুবিধাবঞ্চিত ৫ লাখ গ্রামীণ ও নিম্ম আয়ের মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হব এবং তাদের জন্য বিশেষ ডিজাইনে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সল্যুশন তৈরি করতে পারবো”। টেলিনর হেলথ-এর সিসিও অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, “ইতোমধ্যে শক্তি ফাউন্ডেশনের কর্মচারীদের একাংশ টেলিনর হেলথের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে আমরা সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাস্থ্যসেবা সেবা প্রদানে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।
তার মধ্যে সাম্প্রতিক মহামারী ডেঙ্গু নির্মূলের লক্ষ্যে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা সুবিধা, ভিডিও কলের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ, বিশেষ ছাড়ে ডায়াগনস্টিক সার্ভিস, ডায়াবেটিস স্ক্রিনিংসহ আরো অনেক বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়ন করেছি। আশা করছি, গবেষণার মাধ্যমে সেবার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সহযোগিতার ফলে আমরা আরও উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দিতে সক্ষম হব”।

 সহযোগিতার বিষয়ে শক্তি’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বলেন, “এই বন্ধুত্বের মাধ্যমে আমরা ঋণগ্রহীতাদের স্বাস্থ্যসেবা চাহিদা পূরণ করতে চাই। শক্তি সবসময় বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে আসছে। টেলিনর হেলথকে সাথে নিয়ে নারী গ্রাহকদের জন্য একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি”।

ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশন সেন্টারের ডিরেক্টর ড. কৃষ্ণ উদয়কুমার বলেন, “উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলিতে পরবর্তী বিলিয়নের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের অগ্রগতি অর্জন করতে হলে একই সাথে ডেলিভারি মডেলগুলি পুনরায় উদ্ভাবন ও অ্যাক্সেস, গুণমান এবং সাশ্রয়ীকরণের লক্ষ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। টেলিনর হেলথের মতো নিখুঁত দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিষ্ঠানের সঠিক মান-ভিত্তিক নীতি ও অর্থায়নের পাশাপাশি এরকম একটি সল্যুশন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সেই সাথে এই উদ্যোগের ফলে স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক প্রভাবের মাত্রাও বিবেচনায় রাখা উচিত হবে”। অ্যামাজন, প্রটেক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের কর্মকর্তারাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রিপোর্টাররা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখার অঙ্গীকার করার জন্য টেলিনর হেলথের এই উদ্যোগের প্রশংসাও করেন। এ ধরনের উদ্যোগ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে, যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর