লাইসেন্সিং পরীক্ষা নেয়াসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন নার্সরা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিজয়নগরস্থ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল দপ্তরে এ অবস্থান ধর্মঘট করেন তারা। বাংলাদেশ ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশন, লাইসেন্সিং পরীক্ষা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ ও বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সিং ইউনিয়নের উদ্যোগে এ ধর্মঘট ও অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা আন্দোলনকারী নার্সরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা) শেখ ইউসুফ হারুনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। স্বাস্থ্য সচিব ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের একাধিক অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল রেজিস্ট্রার ও একাধিক নার্সিং কলেজের শীর্ষ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন তারা। আন্দোলনকারী নার্সরা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেস অনুসরণ না করে এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াাইফারি কাউন্সিল আইন ভঙ্গ করে ভিন্ন কোর্স, ভিন্ন নাম, ভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভিন্ন কারিকুলাম, ভিন্ন বিভাগ, অভিন্ন নীতিমালা শর্ত, কারিগরি বোর্ডের পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে নিবন্ধনের দাবির মাধ্যমে সৃষ্ট জটিলতার কারণে আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থী কমিপ্রহেনসিভ বা লাইসেন্স পরীক্ষা গত এক বছর ধরে দিতে পারছেন না। এতে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এই জটিলতা নিরসন করে দ্রুত কমিপ্রহেনসিভ বা লাইসেন্সিং পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে যোগ দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য ও শিক্ষা) সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সকাল ১০টায় সেখানে এসেছিলেন। তখন থেকে আন্দোলনকারী নার্সরা তাদের সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখেন। জানা যায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্স চালুর ব্যাপারে অনুমতি প্রদানের জন্য উচ্চ আদালতে একটি মামলা চলছে। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নার্সদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তা-ভাবনা করছে মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনের (বিএনএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমত আরা পারভীন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি তার সমর্থন রয়েছে।