বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ ‘আইএস বধূ’ বলে পরিচিত শামীমা বেগম ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে দাবি করেন, জিহাদি স্বামী ইয়াকো রিদিজক ধর্ষণ করেছিলেন শামীমাকে। এ নিয়ে শুনানিতে অংশ নিতে তিনি বৃটেনে ফিরতে চান। ১৫ বছর বয়সে বৃটেন থেকে পালিয়ে গিয়ে সিরিয়াতে শামীমা বিয়ে করেন ২৩ বছর বয়সী রিদিজককে। এখন শামীমার বয়স ১৯ বছর। তার নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার একটি আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে এ সপ্তাহে। প্রাথমিক সেই শুনানি করতে হলে শামীমার উপস্থিত থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী তাসনিম। তিনি ডেইলি মিরর’কে বলেছেন, সিরিয়ায় পৌঁছার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে আইসিসের এক উৎসবে শামীমাকে বিয়ে দেয়া হয় রিদিজকের সঙ্গে।
ফলে তার এই প্রেক্ষাপটকে ধর্ষণ হিসেবে দেখার আবেদন করেন তিনি। শামীমার আইনজীবীদের টিম যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, এই শুনানি তাকে ছাড়া হতে পারে না। তবে কয়েক সপ্তাহ আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, জিহাদি বধূকে বৃটেনে ফিরতে অনুমতি দেয়া হবে না। গত মাসে থেরাপি নেয়ার জন্য বৃটেনে ফিরতে আকুতি জানান শামীমা। তিনি বলেন, এখন তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’কে ঘৃণা করেন। আইএসে যুক্ত হওয়ার পর তিনি এ পর্যন্ত তিনটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তাদের সবাই রোগে অথবা অপুষ্টিতে মারা গেছে। তবে শামীমার ফেরার ব্যাপারে প্রীতি প্যাটেল বলেন, কোনো পথই খোলা নেই। ওদিকে বর্তমানে সিরিয়ায় একটি অন্তর্বর্তী শিবিরে অবস্থান করছেন শামীমা। তিনি বলেছেন, আমার মানসিক অবস্থা খুব ভালো নেই। তবে শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ আছি। এখনো আমি যুবতী। আমার কোনো রোগ হয় না। মানসিকভাবে একটা খারাপ অবস্থায় আছি। আমার থেরাপি প্রয়োজন। কারণ আমি সব সন্তানকে হারিয়েছি। তবে দ্য সান পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, আমাদের কাজ হলো দেশকে নিরাপদ রাখা। যারা ক্ষতিকর কাজ করেছে এবং আমাদের দেশ ছেড়ে গেছে হত্যার মিশন নিয়ে, যারা ওই আদর্শ লালন করে, তাদেরকে প্রয়োজন নেই আমাদের।