× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করাতে জনসনের শেষ প্রচেষ্টা

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
২৩ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার

আগামী ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সমপন্ন করতে শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার রাতে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তিটি প্রকাশ করেন তিনি। মঙ্গলবার চুক্তিটি নিয়ে বিতর্ক করবেন এমপিরা। বিতর্ক শেষে এ নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে গুরুত্বপূর্ণ ভোট। বৃটিশ এমপিদের চুক্তিটির পক্ষে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পার্লামেন্টে চুক্তিটি পাস হলে নয়দিনের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বৃটেন। এমপিরা যদি জনসনের চুক্তির প্রতি সমর্থন জানান তাহলে তাদেরকে চুক্তিটি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় নির্ধারণ করা বিষয়ে ভোট হবে। জনসন এ সময়সীমা তিনদিন প্রস্তাব করেছেন।
তবে বিরোধীরা জানিয়েছেন, আলোচনার জন্য তিনদিন সময় যথেষ্ট নয়। এই সময়সীমা আরো বাড়াতে হবে। এছাড়া, ব্রেক্সিট সমপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া বা ট্রানজিশন পিরিয়ড বৃদ্ধি না করা হলে তারা চুক্তির পক্ষে ভোট দেবে না বলেও জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও দ্য টাইমস।

খবরে বলা হয়, সমপ্রতি পার্লামেন্টে চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছেন জনসন। ফলে গত মাসে পাস হওয়া বেন অ্যাক্ট অনুসারে, ইইউ’র কাছে ব্রেক্সিট পেছানোর অনুরোধ করে চিঠি লিখতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড টাস্ক বলেন, তারা সময়সীমা পেছানোর ব্যাপারে আলোচনা করছে। এ অবস্থায় সোমবার তার নতুন চুক্তিটি পার্লামেন্টে প্রকাশ করেছেন জনসন। সেখানে চুক্তিটি পড়ে শোনানো হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে চুক্তিটি নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পার্লামেন্টে। বিতর্ক শেষে চুক্তিটি নিয়ে প্রথম দফা ভোট হবে। ভোটে পাস হলে পরবর্তী কয়দিন ধরে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে এটি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে ভোট দেবেন এমপিরা। সে সময়সীমার মধ্যে পার্লামেন্টে চুক্তিটির সংশোধন প্রস্তাব করতে পারবেন এমপিরা। আলোচনা ও সংশোধন শেষে পাস হলে সেটি যাবে উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসে। সেখান থেকে পাস হলে ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সমপন্ন হবে। জনসন বলেছেন, নিম্নকক্ষে চুক্তিটি নিয়ে আলোচনার সময় তিনদিন নির্ধারণ করেছেন তিনি। তবে এর বিরোধিতা করেছেন অনেকে।

এদিকে, দ্য টাইমস জানিয়েছে, এমপিরা বলছেন, জনসন যদি ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সমপন্ন হওয়ার সময়সীমা না বাড়ান তাহলে পার্লামেন্টে পরাজিত হতে পারেন তিনি। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের প্রভাবশালী দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) ইতিমধ্যে তাদের বিরোধিতা নিশ্চিত করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর