× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘এটা একটা খারাপ লাগার ব্যাপার’

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
২৩ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার

চলতি প্রজন্মের আলোচিত সংগীতশিল্পী ঐশী। অল্প সময়ে তার গাওয়া বেশ কিছু গানই শ্রোতামহলে প্রশংসিত হয়েছে। অডিওর পাশাপাশি সিনেমায় প্লেব্যাকও করছেন নিয়মিত। পড়াশোনা করছেন ডাক্তারিতে। পড়াশোনার বাইরের সময়টা স্টেজ শো ও টিভি অনুষ্ঠানের শুটিংয়ে কাটে ঐশীর। বর্তমানে গান নিয়ে বেশ ব্যস্ত এ শিল্পী। তাছাড়া গত সোমবার তিনি সেরা প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে অর্জন করেছেন ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস(বিবিএফএ)। সব মিলিয়ে দিনকাল কেমন কাটছে? ঐশী বলেন, খুব ভালো আছি।
সময়টাও ভালো কাটছে। পড়াশোনা ও গান মিলিয়ে ব্যস্ততা বেশ। তবে আমি ব্যস্ততাটা উপভোগ করি। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সেরা প্লেব্যাক কন্ঠশিল্পী হিসেবে। অনুভূতি কেমন? ঐশী বলেন, যে কোনো পুরস্কারই আসলে উৎসাহ বাড়িয়ে দেয় অনেক। আর এটি বেশ বড় আয়োজনের একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। এখানে দুই বাংলার চলচ্চিত্রের তারকারা সবাই অংশ নিয়েছেন। অনেক সিনিয়র ও গুণী শিল্পী নমিনেশন পেয়েছিলেন। যখন সেরা কন্ঠশিল্পী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হলো তখন একইসঙ্গে বিস্মিত ও আনন্দিত হয়েছি। সত্যি বলতে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছে। ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া’ ছবির টাইটেল গানের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। এ গান ও সিনেমার সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যেন সামনে আরো ভালো গান শ্রোতাদের উপহার দিতে পারি সেই চেষ্টাটাই থাকবে। এখন ব্যস্ততা চলছে কি নিয়ে? ঐশী বলেন, পড়াশোনার প্রেসার আমার সব সময়ই থাকে। পাশাপাশি গানে সময় দিচ্ছি। আমার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ঐশী এক্সপ্রেস’ প্রকাশ হয়েছিলো ২০১৫ সালে। এবার চার বছর পর নতুন অ্যালবামের কাজ করছি। ‘ঐশী এক্সপ্রেস-২’ আসবে শিগগিরই। এরইমধ্যে এ অ্যালবামের কাজ অনেকখানি শেষ করেছি। এখানে ১০টি গান থাকবে। এ বিষয়ে ঐশী আরো বলেন, প্রায় এক বছর ধরে অ্যালবামটি নিয়ে কাজ করছি। এরইমধ্যে নয়টি গানের কাজ শেষ হয়েছে। গানগুলো হলো- ‘আকাশ’, ‘মনের খবর’, ‘খুঁজে ফিরি’, ‘লাভ ইজ মার্কেট আউট’, ‘ভোলামন’, ‘ঝিলিমিলি’, ‘হৃদয়ের ধন’, ‘মন্দাবাসি’ ও ‘ঘোমটা পরা ড্যান্স’। গানগুলোর সুর-সংগীত করেছেন শফিক তুহিন, আহম্মেদ হুমায়ুন,  বেলাল খান, মার্সেল, অরূপ ও অ্যাপিরাস। গানগুলোর ধরন প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের গানই রয়েছে। তবে আমার পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে এগুলো সাজিয়েছি। গানগুলো থেকে ভিডিও করারও পরিকল্পনা রয়েছে। আমার বিশ্বাস প্রকাশ হলে গানগুলো শ্রোতাদের ভালো লাগবে। প্লেব্যাকের কি অবস্থা? ঐশী উত্তরে বলেন, বেশ কয়েকটি ছবির গানের কাজ করেছি সম্প্রতি। এরমধ্যে সর্বশেষ বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ‘আগুন’ ছবির একটি আইটেম গানে কন্ঠ দিয়েছি। এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন। সামনে আরো কয়েকটি ছবির গানে কন্ঠ দেয়ার কথা রয়েছে। ব্যাটে-বলে মিললে করে ফেলবো। বর্তমানে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? ঐশী বলেন, এখন মোটামুটি ভালো। এখনতো ইউটিউব মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে যে কেউ নিজের প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে পারছে। আর ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। বেশ কিছু কোম্পানি এখন ভালো গানে বিনিয়োগ করছে। তবে অ্যালবাম প্রকাশ হচ্ছে একেবারেই কম। এটা একটা খারাপ লাগার ব্যাপার। যদিও এই সময়েও একক অ্যালবাম করলাম। তাও ১০টি গান নিয়ে। আমার মনে হয় ডিজিটালির পাশাপাশি কিছু সংখ্যক হলেও ফিজিক্যাল অ্যালবাম প্রকাশ হওয়া উচিত। কারণ ফিজিক্যাল অ্যালবামের আবেদন অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না। তবে আমি আশাবাদী যে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা সামনে ভালোর দিকে যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর