× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিকিৎসককে পেটালেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান

অনলাইন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) অক্টোবর ২৩, ২০১৯, বুধবার, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
বা দিক থেকে ইউসুফ আলী শেখ ও ডা. শাকিল

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. ইউসুফ আলী শেখের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল হামজাকে মারপিট করে দেড় ঘণ্টা ওয়াশরুমে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠেছে। আহত চিকিৎসক বর্তমানে ওই হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলেও থানা পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন আহত চিকিৎসক।    

চিকিৎসক ডা. শাকিল হামজা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার হাসপাতালে রোগী দেখার সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে একজন মহিলা (পুরাতন রোগী) এক যুবককে নিয়ে টিকিট ছাড়া রুমে প্রবেশ করেন। নতুন রোগীর চাপ থাকায় তাকে পরদিন আসার জন্য পরামর্শ দিই। তারা চলে যাওয়ার ৫-৭ মিনিট পর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ শেখ কক্ষে প্রবেশ করেই আমাকে মারপিট শুরু করেন। আমাকে গলা টিপে ধরে লাথি মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। এ অবস্থায় আত্মরক্ষার্থে আমি জরুরি বিভাগের ওয়াশরুমে প্রবেশ করলে আমাকে সেখানে দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে বের হয়ে একটি ওষুধ কোম্পানির গাড়িতে পালিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছি।


বিকেলে ঘটনার বিষয়ে মামলা করতে থানায় গেলে ওসি সাহেব বলেন আপনার সম্পর্কে অনেক নেগেটিভ কথা শুনেছি। অভিযোগ নেয়ার কথা বললেও নানা টালবাহানায় তিনি অভিযোগ নেয়নি। বিষয়টি আমি সার্কেল এএসপি ও উর্ধ্বতন চিকিৎসক কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।    

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক থানায় এসে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। অভিযোগ নিয়ে পরে আসবেন জানালেও আর আসেন নি। ওসি আরও বলেন, চিকিৎসক কোন অভিযোগ না দিলেও একজন মহিলা তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।

বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাসলিমা জান্নাত জানান, ডা. শাকিলের সঙ্গে একজন মহিলা রোগীর কথা কাটাকাটি কারণে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে এসে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারপিট ও ওয়াশরুমে আটকে রেখেছিল। কোন জনপ্রতিনিধি একজন সরকারি চিকিৎসকের গায়ে কোনভাবেই হাত তুলতে পারেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।  

সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মন্ডলকে অবগত করা হয়েছে। তিনি (বৃহস্পতিবার) এলাকায় এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আলী শেখ মোবাইলে জানান, চিকিৎসক শাকিল হামজা একজন মহিলা রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। বিষয়টি জানার পর আমি চিকিৎসকের রুমে গিয়ে দুর্ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে তার সঙ্গে আমার তর্কাতর্কি হয়েছে। মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফকে বিষয়টি অবগত করার পর বলেন, ঘটনার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। ওই চিকিৎসক আমাকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করেনি। প্রকৃত তথ্য জেনে এ প্রতিনিধিকে সংবাদ প্রকাশের পরামর্শ দেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর