× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গরুর দুধে সোনা থাকে: বিজেপি নেতা

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ৫, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

গরু নিয়ে বিজেপি নেতাদের নানা আজব তত্ত্ব মাঝে মাঝেই শোনা যায়। এর সঙ্গে জুটেছে কিছু বিজেপি অনুগামী বিজ্ঞানীও। এবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ গরুর দুধে সোনার হদিশের আজব তথ্য জানিয়েছেন।
বর্ধমান শহরের টাউনহলে ‘ঘোষ এবং গাভীকল্যাণ সমিতি’র সভায় সোমবার দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে। তাই দুধের রং হলুদ হয়। তার ব্যাখ্যা, দেশি গরুর কুঁজের মধ্যে স্বর্ণনাড়ি থাকে। সূর্যের আলো পড়লে সেখান থেকে সোনা তৈরি হয়। এমন ‘বৈজ্ঞানিক’ গবেষণা পৃথিবীর কোথাও হয়েছে বলে জানা নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবশ্য বছর তিনেক আগে গুজরাতের জুনাগড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিশেষজ্ঞ গিরের চারশো গরুকে নিয়ে সমীক্ষার পরে দাবি করেন, গোমূত্রে সোনা আছে।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান বিএ গোলাকিয়া এদিন দাবি করেন, ছ’টি প্রজাতির গরুর একশ’র বেশি মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করে সোনার উপস্থিতি পেয়েছি।
এই সোনা রয়েছে ক্লোরাইড যৌগ হিসেবে। গোমূত্র নিয়ে বিজেপি নেতারা নানা দাবি করেছেন। বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা দাবি করেছিলেন, তিনি স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। গোমূত্র পান করে আর পঞ্চগব্য গ্রহণ করে নিজেকে সারিয়ে তুলেছেন।
তবে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ গরুর দুধে সোনার হদিশ দিয়ে বিজেপি অনুগামীদের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (ডেয়ারি) তরুণকুমার মাইতি বলেছেন, গরুর দুধে অনেক কিছুই থাকে। তবে সোনা আছে বলে শুনিনি।  ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাকোলজির শিক্ষক স্বপন জানা অবশ্য মনে করেন, বিজেপি আর বিজ্ঞানকে মেলানো কঠিন। ওরা বিলক্ষণ জানেন, গোদুগ্ধে কী আছে। অযথা এসব বলে জনতাকে বিভ্রান্ত করছেন, অনেক বড় সমস্যা থেকে তাদের নজর ঘুরিয়ে দিতে।

‘বিদেশি গরুরা গো মাতা নয়, তারা সবাই আন্টি’
এদিকে, ঘোষ অবশ্য গরুর দুধে সোনা থাকার দাবিতেই থেমে থাকেননি। দেশি ও বিদেশি গরুর শ্রেণিবিন্যাসও করেছেন। দেশি গরুকে ‘গোমাতা’ আখ্যা দিয়েছেন আর বিদেশি গরুদের ‘আন্টি’। বলেছেন, বিদেশি গরুরা গো মাতা নয়, তারা সবাই আন্টি। কারণ, সেগুলি হাম্বা ডাকে না। তাই আন্টির পুজো করে দেশের কল্যাণ হবে না। বিজেপি নেতার এই সব বক্তব্যে রাজ্যের বিজ্ঞানী ও যুক্তিবাদীরা প্রবল সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর