× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বুলবুলের ঝাপটায় পশ্চিমবঙ্গে প্রাণ গেল ১১টি

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১১, ২০১৯, সোমবার, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ঝাপটায় পশ্চিমবঙ্গে ১১ জনের প্রাণ গিয়েছে। অবশ্য সরকারিভাবে সাতজনের প্রাণহানির কথা জানানো হয়েছে। এখনও একটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৮ জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ নেই। নিহতদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ৫ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়  ২ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ জন এবং  কলকাতায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন গাছ ভেঙে মারা গিয়েছেন। বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ২ জন এবং  ২ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। একজন মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে ট্রলার ডুবে। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, ৪.৬৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বাড়ি ভেঙ্গেছে প্রায় ৬০ হাজার। মারা গিয়েছে বেশ কিছু গবাদি পশু। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি নদীবাঁধের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। হুগলিতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। বুলবুলের ঝাপটায় উত্তর ২৪ পরগনায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ, দুই সন্দেশখালি, হাসনাবাদ ও বসিরহাট-১ ব্লক। দক্ষিন ২৪ পরগণার সাগর, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি অঞ্চলেও ব্যাপক ধ্বংসের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, কাঁথি, রামনগর, খেজুরি ও নন্দীগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল আকাশপথে পরিদর্শন করছেন। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ ও উদ্দারকাজ নিয়ে  প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।  ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে ব্যবহার করা হচ্ছে দ্রোন।  বিপর্যয় মোকাবিলায় রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সব রকম সাহায্যেও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপকূলের জেলাগুলিতে সর্বত্র ধ্বংসের চিহ্ন। সর্বত্র গাছ ভেঙে পড়ে যাতাযাতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক এলাকা এখনও যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন। বহু জায়গাতেই বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ৬৬ টি বিদ্যুতের সাব ¯েটশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০০টি মোবাইল টাওয়ারও। চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির জলে ভরে গিয়েছে চাষের খেত। ভীষণ ক্ষতি হয়েছে ধান, পান ও আনাজের। অবশ্য চাষিরা  বলেছেন, বাঁচোয়া বলতে এটুকুই যে, এ বার আয়লার মতো বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢোকেনি খেতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর