× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফরিদপুরে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করা হলো না সোহেলের

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১১, ২০১৯, সোমবার, ১:০৭ পূর্বাহ্ন

কলকাতায় থাকা শেখ সোহেল ধীরে ধীরে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন। পাসপোর্টও করিয়ে ছিলেন। যাবেন ফরিদপুরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। গরীব পরিবারের এই সন্তান চেয়েছিলেন বাবা-মায়ের হাতে জমানো টাকা তুলে দিতে। কিন্তু কোনও ইচ্ছেই পূরণ হল না। তার আগেই ঘুর্ণিঝড়ের ঝাপটায় কলকাতার এক অভিজাত ক্লাবে বড় দেবদারু গাছ ভেঙ্গে মারা গিয়েছেন ২৮ বছরের সোহেল। সেই ক্লাবে রান্নার কাজ করতেন চাইনিজ রান্নায় পটু সোহেল।

একসময় চায়না টাউনে কাজ করলেও পরে ট্যাংরার বাড়ি থেকে কিছু দূরে পার্কসার্কাস অঞ্চলের সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ের একটি ক্লাবে বেশি মাইনেতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
ট্যাংরায় থাকতেন মাসীর কাছে। পাশেই থাকেন তার ভাই সৈয়দ মোল্লা। তিনি জানিয়েছেন, ফরিদপুরে তাদের দেশের বাড়ি। অনেক দিন ধরে সোহেল বলছিল মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাবে। পাসপোর্টও তৈরি করেছিল। বাড়ি যাওয়ার জন্য একটু একটু করে টাকা জমাচ্ছিল। সব শেষ হয়ে গেল।

সোহেল বলেছেন, বাংলাদেশে মা বাবার কাছে সোহেলের মৃত্যুর খবর পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে অল্প বয়সেই কাজে যোগ দিয়েছিল সোহেল। দশ বছর চায়না টাউনের একটি নামী রেস্টুরেন্টে রান্নার কাজ করা সত্ত্বেও স্থায়ী চাকরি না হওয়ায় সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ের ওই ক্লাবে আরও ভাল বেতনে রাঁধুনির চাকরিতে যোগ দিয়েছিল সোহেল। সাইকেলে করেই যাতায়াত করত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর