ক্লাসরুম সংকট, ল্যাব, শিক্ষক সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ১:৩০ থেকে ১:৩০ পর্যন্ত আন্দোলন চলে। প্রশাসনের সাথে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এমন আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে তাঁরা।
জানা যায়, ক্লাসরুম, ল্যাব, শিক্ষক সংকটসহ নানা সংকট যেন লেগেই আছে বেশ কয়েকটি বিভাগে। এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের বয়স ১০ বছর পার হলেও মাত্র একটি ক্লাসরুম আর সাতজন শিক্ষক নিয়ে চলছে বিভাগটি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বার বার এ সংকট নিরসনের জন্য আবেদন করলেও আশ্বাস দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে প্রশাসন।
গত ৩১শে অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু সোমবার পর্যন্ত তাদের কোন সমস্যা সমাধান করা হয়নি এমনকি আজ রেজিস্ট্রার নিজেই ছিল অনুপস্থিত।
তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা সেখান থেকে উঠবে না এমনটাই ঘোষণা দেয় এবং স্লোগান দিতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আন্দোলনকারীদের নিয়ে বসে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সাথে বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসবে প্রক্টরের এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। তবে তাদের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না বলেও ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।
এসময় তারা ক্লাসরুম দ্রুত হস্তান্তর, পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধাসহ ল্যাবরুম নিশ্চিতকরণ, জনৈক শিক্ষককের বক্তব্য প্রত্যাহার ও আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ল্যাবের সুষম বন্টনসহ ৫ দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসেছিলাম। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তারা আমাদের আশ্বাসে আগামীকাল পর্যন্ত তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে। মঙ্গলবার বসে দাবিগুলোর একটা সমাধান করার চেষ্টা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন,‘ঠিকাদাররা ঠিকমতো কাজ শেষ না করায় এ সমস্যা হচ্ছে। ঠিকাদারদের বিষয়ে আমরা বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তবে আজকে (সোমবার) রাতের ভেতর অন্তত দুটি রুম হলেও ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছি যেন আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিভাগটিকে দিতে পারি।’