× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বছর শেষে অনিশ্চয়তায় সংগীতাঙ্গন

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার

চলতি বছরের অতিবাহিত সময়টা সংগীতের জন্য মোটেও সুখকর ছিল না। সম্ভাবনা দিয়ে শুরু হলেও বছর শেষে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রকাশিত গানের সংখ্যাও গত কয়েক বছরের তুলনায় কম। বিভিন্ন অডিও কোম্পানি খুব বেছে বেছে বাণিজ্যিক ঘরানায় সফল শিল্পীদের গানই কেবল প্রকাশ করেছে। এমনকি কোনো কোনো কোম্পানি একজন শিল্পীর গান এ বছর একটির বেশি প্রকাশ করেনি। এদিকে ভালোবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ, দু’টি ঈদ- কোনো উৎসবই জমে ওঠেনি নতুন গানের মাধ্যমে। এমনকি কোনো গানই তেমনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। কিছু গান পেয়েছে গড়পড়তা সফলতা।
হিট-সুপারহিট গানের সংখ্যা নেই বললেই চলে। তারমধ্যেও তারকা শিল্পীদের গানের আওয়াজ গত বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত এ বছর খুবই কম। বছরের শুরু থেকেই ওয়েলকাম টিউন থেকে আয় কমে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি। কারণ শুধুমাত্র অ্যাপস ও ইউটিউব থেকে বিনিয়োগকৃত অর্থ উঠিয়ে আনতে হিমশিম খেতে হয়েছে অডিও কোম্পানিগুলোকে। তারপরও এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন উৎসবে সাউন্ডটেক, সংগীতা, জি-সিরিজ, লেজারভিশন, সিডি চয়েস, ঈগল মিউজিক, সিএমভি, ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের মতো বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসবগুলোতে গান প্রকাশের চেষ্টা করে গেছে। এদিকে বছর শেষে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে সংগীতাঙ্গন। কারণ কোরবানি ঈদের পর গান প্রকাশের সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্যহারে। এ সময়ে হাতে গোনা কয়েকটি গানই প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। বছর শেষের এই অনিশ্চয়তার ধাক্কা নতুন বছরে অব্যাহত থাকলে সংগীত ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে বলে মনে করছেন সংগীতবোদ্ধারা। এদিকে বছরের মাঝামাঝি সময়ে একটি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের জন্য যুক্ত করেছে ভারতীয় জনপ্রিয় স্ট্রিমিং অ্যাপ জি-ফাইভ। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা ছাড়াও ওয়াইফাই দিয়ে নেট চালানো শ্রোতারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে অবাধে উপভোগ করতে পারছেন হিন্দি গানসহ বিদেশের বিভিন্ন নাটক, সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ। এর ফলেও দেশীয় সংগীতের অবস্থা আরো খারাপের দিকে গেছে বলেও মনে করছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যক্তিরা। এ বিষয়ে এমআইবি সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান একে এম আরিফুর রহমান বলেন, এটা দুঃখজনক। বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খারাপ অবস্থা বিরাজ করেছে সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে। আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত প্রধান বিষয়গুলোর সুরাহা তেমনভাবে হয়নি। এখনও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আসলে এমন অবস্থা বিরাজ করছে যে, শুধু ইউটিউবের আয়ের ওপর নির্ভর থাকতে হচ্ছে। আর সেটার ওপর নির্ভর করে আসলে নতুন গানে বিনিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে চলতি বছর এখন পর্যন্ত কম সংখ্যক গান প্রকাশ হয়েছে। এটা ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।  তবে নতুন বছরে যেন এমন অবস্থা না থাকে সে জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। আশা নিয়েই মানুষ বাঁচে। আমরাও আশা করবো এ অবস্থার অবসান হবে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এমআইবি’র সাধারণ সম্পাদক ও সিএমভি’র কর্ণধার শেখ সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা দফায় দফায় বসেছি। আমরা যেন নিয়মিত ভালো সংখ্যক গান প্রকাশ করতে পারি সেদিকে খেয়াল রেখেছিলাম। কিন্তু নানা কারণে ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল না। বছর শেষেও একই রকম অবস্থা বিরাজ করছে। তবে আমরা এমআইবি’র পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি স্থবির অবস্থা যেন তৈরি না হয়। নতুন বছর যেন ভালোভাবে শুরু হয় সেদিকটায় নজর রাখছি আমরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর