× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নানা নাটকীয়তা শেষে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

দেশ বিদেশ

কলকাতা প্রতিনিধি
১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার

 নানা নাটকীয় পট পরিবর্তন শেষে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সি কোশিয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই সুপারিশে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানানো হয়েছে। এদিন দুপুরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষেই মত জানিয়ে দিয়েছিল। রাজ্যপাল এক রিপোর্টে সরকারকে জানিয়েছে যে, বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপিকে সরকার গঠন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো পক্ষই পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য সমর্থনের চিঠি দেখাতে পারেনি। অথচ এনসিপি মঙ্গলবার সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছিল। তারাও রাষ্ট্রপতির কাছে ৪৮ ঘণ্টার সময় চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল তা দিতে চান নি।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে শিবসেনা সরকার গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করে ৪৮ ঘণ্টার সময় চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল তা দিতে রাজি হননি। এর প্রতিবাদে শিবসেনা মঙ্গলবার সুুপ্রম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজ্যপালের সময় না দেয়ার সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে আদালতে আবেদন করেছে শিবসেনা। এই আপিলের শুনানিতে শিবসেনার পক্ষে অংশ নেবেন কংগ্রেস নেতা আইনজীবী কপিল সিব্বাল। সোমবার শিবসেনা সরকার গঠনের  দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। এনসিপির সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। এনসিপির দেয়া শর্ত অনুযায়ী শিবসেনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিল। তবে কংগ্রেস শিবসেনার সঙ্গে যাওয়া ঠিক হবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তবুও এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছেন। এমনকি শিবসেনা প্রধানও সোনিয়াকে ফোন করে সমর্থন চেয়েছেন। শিবসেনা যখন সমর্থনের চিঠি পাওয়ার আশায় বসে রয়েছে ঠিক তখনই  রাজ্যপাল সময় দিতে না চাওয়ায় সব প্রক্রিয়া ভেস্তে গিয়েছে। শিবসেনার পর রাজ্যপাল প্রথামাফিক তৃতীয় বৃহৎ দল হিসেবে এনসিপিকে সরকার গঠন করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাদের মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে  এনসিপি রাজ্যপালকে জানান, তাদের ৪৮ ঘণ্টা সময় চাই। কিন্তু এক্ষেত্রেও রাজ্যপাল তা দিতে রাজি হননি। গত ২৪শে অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনের পর ২০ দিন পার হয়ে গেলেও অচলাবস্থা কাটাতে সব দলই ব্যর্থ হয়েছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভার ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন। শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন, এনসিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছে ৪৪টি আসন। এবং নির্দল ও অন্যরা পেয়েছে বাকি আসন। কিন্তু সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৮৮টি আসন। বিজেপি ও শিবসেনা জোট করে নির্বাচনে লড়াই করলেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ আধাআধি সময়ের জন্য ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত আগে বিজেপি রাজি থাকলেও এখন আর রাজি না হওয়াতে বিরোধ তৈরি হয়েছিল দুই শরিকের মধ্যে। এরপর শিবসেনা বিকল্প হিসেবে এনসিপি, কংগ্রেস এবং নির্দলদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের ব্যবস্থা প্রায় পাকা করে ফেলেছিল। কিন্তু সমর্থনের চিঠি পাওয়ার টালবাহানাতেই তাদের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যপাল বিজেপিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে রাজি হলেও অন্য দুইপক্ষকে তা দিতে রাজি হননি। শিবসেনার অভিযোগ রাজ্যপাল বিজেপির হাতের পুতুল হিসেবে কাজ করছেন। আইনবিশেষজ্ঞদের মধ্যেও রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে বিষয়টি দেখবে তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর