ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার , ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯ রমজান ১৪৪৫ হিঃ
শাবিতে ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ
শিক্ষাঙ্গন
শাবি প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৩, ২০১৯, বুধবার, ৬:০২ পূর্বাহ্ন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি ফি বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গত বছর ভর্তি ফি ৭৫০০ টাকার পরিবর্তে চলতি বছর মেডিকেল ইনস্যুরেন্স এবং ডোপ টেস্টের নামে ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে ভর্তি ফি ৮০০০ টাকা করায় তারা এই বিক্ষোভ মিছিল করে। পরবর্তীতে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলা হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলচত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাজিরুল আযম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিয়া এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, সাধারণ শিক্ষার্থী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সুদীপ্ত ভাস্কর অর্ঘ্য প্রমূখ। এ সময় বক্তারা বলেন, গত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মত এবারও অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক ভাবে ভর্তি ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতবার ছাত্র ফ্রন্ট ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ভর্তি ফি ২০০০ টাকা কমাতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন। ‘ডোপ টেস্ট’ ও ‘ইন্স্যুরেন্স ফি’র নামে এই বাণিজ্য করা হচ্ছে।
সারা বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন ডোপ টেস্ট ছাড়াই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং মাদকাসক্তদের নিরাময় কেন্দ্রের সহযোগিতা নিয়ে সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়। সেখানে এ ধরনের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া অযৌক্তিক। অতিরিক্ত ৫০০ টাকার মধ্যে ডোপ টেস্টে ৩০০ টাকা এবং ইন্স্যুরেন্স এর নামে ২০০ টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্য যে বাণিজ্যিক তা আরো স্পষ্ট হয়। এ বছর ৭০,৫০০ টি ভর্তি ফরমের মাধ্যমে ৬ কোটি টাকার উপরে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যায্য 'ইনকাম' করেছে বলে তারা দাবি করেন। তারা আরও বলেন, এত টাকা পাওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ১০ লাখ টাকা বাৎসরিক বাজেটে যোগ করতে পারে না প্রশাসন। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্যই যেখানে মোটা অংকের লাভ, সেখানে তাদের সাথে চুক্তি করে ইন্স্যুরেন্স ফি নেওয়া আরো অন্যায়। এই চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোন কোন রোগের জন্য সেবা পাবে, কত টাকা সর্বোচ্চ বরাদ্দ হবে এ নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই নতুন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের এই ৫০০ টাকা বাড়তি ফি নেওয়ার তীব্র ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই ফি প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।’