× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আওয়ামী লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে: কাদের

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। গুটিকয়েক খারাপ লোকের জন্য গোটা আওয়ামী লীগ বদনামের ভাগিদার হবে না। শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। গতকাল বিকেলে নগরীর রাহাত্তারপুলের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে মাঝে মাঝে যখন দেখি আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের শত্রু। সামান্য কারণে একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তুচ্ছ কারণে অবাঞ্ছিত, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তখন মনে বড় কষ্ট লাগে। বড় দুঃখ পাই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। যারা অন্তর্কলহ করবে, অপকর্ম করবে, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা করবে, সেসব অপকর্মদারীদের স্থান আওয়ামী লীগে নেই। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু সেই পরিবর্তন চাই না, যে পরিবর্তন আওয়ামী লীগকে আদর্শের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গুটি কয়েকজনের জন্য গোটা আওয়ামী লীগের ভালো লোকদের ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, আখতারুজ্জামান বাবু শুধু ব্যবসা করলে দেশের এক নাম্বার ব্যবসায়ী হতে পারতেন। কিন্তু রাজনীতিকে টাকা তৈরির মেশিন ভাবেননি তিনি। রাজনীতিকে তিনি পণ্য মনে করেননি। অনেকে রাজনীতিকে কেনা-বেচার পণ্য মনে করেন, বাবু ভাই সেটা করেননি। তিনি জনগণের পাশে ছিলেন। শেখ হাসিনার প্রতি তার ভালোবাসার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। বাবু ভাইয়ের মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম শোকের দরিয়া হয়ে গিয়েছিল। তিনি মানুষকে ভালোবেসে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, মানুষ তার মৃত্যুর পরও তাকে ভালোবেসে তার ভালোবাসার প্রতিদান দিচ্ছে। স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সমপাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাবু ভাই রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। অনেক বিত্ত-বৈভবের মালিক রাজনীতিতে এসে রাজনীতিকে কিনতে চায়। যারা রাজনীতিকে অর্থ দিয়ে কিনতে চান, তাদের বলব বাবু ভাইয়ের কাছ থেকে শেখার জন্য, যার অর্থ বিত্ত থাকার পরও রাজনীতিকে কেনার চেষ্টা করেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে কখনো বেঈমানি করেননি। প্রয়াত নেতার সন্তান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, আমার বাবা ব্যবসার জন্য রাজনীতি করেননি। পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ করার মানুষ পাওয়া যায়নি। আজ অনেকে দল করতে চায়। দেশ আজ গর্ব করার মতো জায়গায় পৌঁছেছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র চায় আমাদের ধ্বংস করতে, তারা বসে নেই। আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টিকে আছে দলীয় নেতাকর্মীর কারণে। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সমপাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর দুঃসময়ে যখন অনেক বড় বড় নেতা আস্থার সংকটে ভুগেছিলেন, তখন তিনি আস্থা হারাননি। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে অনেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে পড়েছিলেন। তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দল ছেড়ে যাননি, বরং নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে দলের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের সেই ত্যাগে আজ দল টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায়। স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, কেন্দ্রীয় উপদফতর সমপাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সমপাদক আমিনুল ইসলাম, সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, উত্তর জেলার সাধারণ সমপাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদে। সঞ্চলনায় ছিলেন সাধারণ সমপাদক মফিজুর রহমান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর