× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা ডায়ালগের সমাপ্তি / অংশীদারিত্ব জোরদারে দৃঢ় অঙ্গীকার

দেশ বিদেশ

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

পার্টনারশিপ বা অংশীদারিত্ব জোরদারের দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৩ দিনের ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের। ৪৫ রাষ্ট্রের শতাধিক প্রতিনিধি প্রায় ৭২ঘণ্টা আলোচনা করেছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সম্ভাবনা থেকে শুরু করে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নানা বিষয়ে। আলোচনা, পর্যালোচনার পাশাপাশি প্রাণবন্ত বিতর্ক হয়েছে সংলাপের বিভিন্ন সেশনে। কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা আলোচনাই নয়, অনানুষ্ঠানিক মতবিনিমিয়েও অংশগ্রহণকারীরা পরস্পরকে জানা-বুঝার ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হয়েছে। সব মিলিয়ে সফল ওই আয়োজনে সামগ্রিক উন্নয়ন প্রশ্নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ এসেছে। যা নীতিগতভাবে অনুমোদন হওয়া ঢাকা ঘোষণা হিসাবে স্থান পেয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ঘোষণা প্রচার হয়নি। সমাপনী দিনে কো-হোস্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে অংশীদারিত্ব বাড়াতে বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
মোমেনের ভাষ্য মতে, গ্লোবাল ভিলেজের যে কনসেপ্ট তাতে কোন দেশের পক্ষে একা চলা কষ্ট সাধ্য। প্রয়োজন পারস্পরিক সহযোগিতা। এ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায়। মন্ত্রী জোর দেন শান্তি এবং স্থিতিশীলতার ওপর। বলেন, টেকসই উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে শান্তি ও স্থিতিশীলতা। এটি ছাড়া সব অর্জন বৃথা। পারস্পরিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও ভারত দুনিয়াতে অন্যন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী, কাছের দূরের সবার সঙ্গে বাংলাদেশ সহযোগিতামূলক সম্পর্কে বাড়াতে আগ্রহী। এটাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি। সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোমেন ছাড়াও পরারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এবং সহ-আয়োজক ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সঞ্জয় যোশী বক্তব্য রাখেন। গত ১১ই নভেম্বর রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) ও ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) যৌথভাবে এই ডায়ালগের আয়োজন করে।
পার্টনারশিপেই জোর দিলেন ভারতীয় দূত: এদিকে সমাপনী দিনের গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে কানেক্টিভিটির জন্য জরুরি হচ্ছে পার্টনারশিপ বা অংশীদারিত্ব। সবার সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে এটি এগিয়ে নিতে হবে। ভারতীয় দূত বলেন, ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের মধ্য দিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের যে গুরুত্ব, সেটা সবাই নতুন করে উপলব্দি করতে পেরেছে। এটা একটা খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ ছিলো। হাইকমিশনার বলেন, আমরা কী চাই? আমরা চাই উন্নয়ন। সেই উন্নয়নের জন্যই একে অপরের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ প্রয়োজন। এক প্রশ্নের জবাবে রিভা গাঙ্গুলী বলেন, সব কিছু ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে হয় না। ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে আমাদের নিজস্ব কনসেপ্ট আছে, চীনের নিজস্ব কনসেপ্ট আছে, আসিয়ানের নিজস্ব কনসেপ্ট আছে। এর মধ্যে দিয়েই আমাদের একে অপরের সহযোগিতা বাড়াতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর