জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) বল হাতে রেকর্ড গড়লেন রুয়েল মিয়া। গতকাল ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রথম দিনে বল হাতে ৮ উইকেট নেন সিলেট বিভাগের ১৮ বছর বয়সী এ পেসার। এতে মাত্র ১০৬ রানে গুঁড়িয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগের প্রথম ইনিংস। ইনিংসের ১০ উইকেটই নেন সিলেট বিভাগের পেসাররা। আর দুই ইনিংসে পেসারদের ঝুলিতে জমা পড়ে পুরো ১৫ উইকেট। গতকাল ১৮৬/৫ সংগ্রহ নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে সিলেট বিভাগ। চট্টগ্রামকে পাঁচ উইকেটই এনে দেন পেসাররা। গতকাল ১৪.২ ওভারের স্পেলে মাত্র ২৬ রানে আট উইকেট নেন রুয়েল মিয়া।
বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আসর জাতীয় লীগে কোনো পেসারের সেরা বোলিং ফিগার এটি। এতে বাঁহাতি পেসার রুয়েল ভেঙেছেন সাত বছর আগে গড়া তালহা জুবায়েরের রেকর্ড। ২০১২ সালে রংপুরের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর পেসার তালহা ৩৫ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। জাতীয় লীগে ৫০-এর চেয়ে কম রান খরচ করে ৮ উইকেট নিতে পারেননি আর কোনো পেসার।
গতকাল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন সিলেট বিভাগের অধিনায়ক অলক কাপালি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাদিকুর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম বিভাগ। তাকে সাজঘরে ফেরান সিলেটের ডানহাতি পেসার ইমরান আলি। এর পর শুরু হয় ‘রুয়েল শো’। রুয়েলের পাওয়া আট উইকেটের চারটিই বোল্ডআউট। আর মাঝে চট্টগ্রাম বিভাগ অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের উইকেটটি নেন সিলেটের আরেক পেসার রেজাউর রহমান রাজা। এদিন প্রথম স্পেলে ২ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে ৬ উইকেট নেন রুয়েল। তিনি সরাসরি বোল্ড করেন ইরফান হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, রনি চৌধুরী ও আলভি হককে। এছাড়া পিনাক ঘোষ ও তাসামুল হক ফেরেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাজ্জাদুল হক। আর রেজাউরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মাসুম খান। জবাবে ১৮৬/৫ সংগ্রহ নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে সিলেট বিভাগ। ৫৫ রান করেন অমিত হাসান। অধিনায়ক কাপালির ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। চট্টগ্রামের বল হাতে ১৪ ওভারের স্পেলে ৭৬ রানে চার উইকেট নেন ২৩ বছর বয়সী পেসার ইফরান হোসেন। ১ উইকেট নেন চট্টগ্রাম বিভাগের অপর পেসার সাজ্জাদুল হক।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড সানজামুল ইসলামের। দুই বছর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) বিসিবি উত্তরাঞ্চলের হয়ে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ৮০ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁ হাতি এ স্পিনার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৯ উইকেট নেয়ার কীর্তি রয়েছে সাকলায়েন সজীব, আবদুর রাজ্জাক ও মোশাররফ হোসেনের।
জাতীয় লীগে পেসারদের সেরা বোলিং
১. রুয়েল মিয়া: ৮/২৬ (২০১৯)
২. তালহা জুবায়ের: ৮/৩৫ (২০১২)
৩. সৈয়দ রাসেল: ৮/৬৭ (২০০৪)
৪. ওয়াসকুরনি আহমেদ: ৮/৬৯ (২০০৫)
৫. শফিউদ্দিন আহমেদ: ৮/৮৬ (২০০২)