× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রেক্সিট গণভোটে রুশ হস্তক্ষেপ, ধামাচাপার চেষ্টা জনসনের!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৯, ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বৃটেনের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট নিয়ে অনুষ্ঠিত গণভোটের সময়ে বৃটেনে হস্তক্ষেপমূলক কার্যক্রম চালিয়েছিল রাশিয়া। ব্রেক্সিটের পক্ষে সমর্থন জোগাতে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছিল রাশিয়া। তবে গণভোটের ফলাফলে ওই হস্তক্ষেপের প্রভাব কতটুকু ছিল তা জানা যায়নি। বৃটেনের এক ফাঁস হওয়া পার্লামেন্ট প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এমনটা জানিয়েছে দ্য টাইমস। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে বিলম্ব করছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদনটি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা।
দ্য টাইমস জানায়, আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৃটেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগ দিয়ে বিস্ফোরক এই প্রতিবেদনটি নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে বৃটেনের রাজনীতি।
বৃটিশ পার্লামেন্টের ক্রস-পার্টি গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কমিটি (আইএসসি)। ১৮ মাসব্যাপী তদন্ত শেষে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা। বৃটেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে। প্রকাশের জন্য সমপ্রতি জনসনের কাছে জমা দিয়েছিল এনএসসি। তবে জনসন এটি প্রকাশ করতে বিলম্ব করছেন। এতে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট গণভোটের সময় বৃটেনে অবৈধ রুশ হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে তাদের হস্তক্ষেপে গণভোটের ফলাফল পরিবর্তিত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অধিকারকর্মী ও গোয়েন্দাকর্মীরা জানিয়েছেন, জনসনের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিল রুশরা। প্রসঙ্গত, ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন জনসন। বৃটেনের ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিলি থর্নবেরি প্রতিবেদনটি নিয়ে বলেন, বৃটেনের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যদি রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো উপসংহারে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়ে থাকে তাহলে তা অনেকগুলো গুরুতর প্রশ্ন তোলে। এগুলোর উত্তর প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, বরিস জনসনকে এই বিভ্রান্তি, ঘূর্ণন ও জল্পনা দূর করতে হবে। সমপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায়, জনগণ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলবে, তিনি তাদের কাছ থেকে কী লুকাতে চাইছেন ও কেন?
এদিকে, জনসন সমপ্রতি বলেছেন, সাধারণ প্রক্রিয়ার আওতাতেই প্রতিবেদনটি প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। কেবল নির্বাচন সামনে বলে এই প্রক্রিয়া পাল্টানোর কোনো কারণই দেখছি না আমি। এধরনের প্রতিবেদনগুলো খুব দ্রুত প্রকাশ পায় না। তিনি আরো জানান, তার লুকানোর কিছু নেই।
তবে জনসনের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন আইএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ডমিক গ্রিয়েভ। তিনি টাইম ম্যাগাজিনকে বলেন, সোজা কথায় এটা সঠিক নয়। আমাদের প্রতিবেদন মার্চ মাসেই তৈরি হয়ে গেছিল। এরপর গোয়েন্দা সংস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের নানা পর্যালোচনা শেষে অক্টোবরে এটি প্রকাশের অনুমোদন দেয়া হয়। এটি প্রকাশের আগে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
জনসনের মন্তব্য টেনে তিনি বলেন, তার ব্যাখ্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে প্রতিবেদনটির বিষয়বস্তু নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। এটি এখনো গোপন নথিপত্র হিসেবেই বিবেচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর