× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিসেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু জাতিসংঘের আইসিজে’তে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ১৯, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:২৮ অপরাহ্ন

জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে মিয়ানমারে গণহত্যা মামলার শুনানি। ট্রাইব্যুনাল সোমবার এ কথা বলেছে বলে হেগ থেকে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এ সময়ে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে জরুরি ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা বা ইনজাংশন দিতে আইসিজের কাছে অনুরোধ জানাবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া। আইসিজেতে গাম্বিয়ার করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংসতা চালিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ১৯৪৮ সালের ইউএন জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমার।

এ বিষয়ে আইসিজে বিবৃতিতে বলেছে, ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে এ মামলার শুনানি করবে তারা। প্রজাতন্ত্রী গাম্বিয়া যেসব প্রবিধান বা ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়ে বা অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে শুনানিতে। ৫৭ জাতির সংগঠন ওআইসির পক্ষে এ মামলা করেছে বলে জানিয়েছে গাম্বিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালায়। এতে বাধ্য হয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। তাদের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। এর বিচার চেয়ে আইসিজের কাছে মামলা করেছে গাম্বিয়া। এ দেশটির আইনজীবীরা বলেছেন, গাম্বিয়া চায় রোহিঙ্গাদের যাতে আর কোনো ক্ষতি না হয় এ জন্য তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ ঘোষণা করা হোক।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত করেছে তার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের জন্য এই মামলাটি হচ্ছে প্রথম আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘের বিবদমান রাষ্ট্রগুলোর বিরোধ মিটিয়ে ফেলার লক্ষ্যে ১৯৪৬ সালে গঠন করা হয় আইসিজে। ওদিকে ২০০২ সালে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত বা বিচার করতে হেগ-ভিত্তিক একটি আদালত গঠন করা হয়। এর নাম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)। বৃহস্পতিবার এই আদালতের প্রধান প্রসিকিউটরকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার অনুমোদন দিয়েছে। ওদিকে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনায় মামলা করেছে। এতে আসামী করা হয়েছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের সাবেক আইকন হিসেবে পরিচিত অং সান সুচিকে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের বিষয়ে বার বারই মিয়ানমার আত্মপক্ষ সমর্থন করেছে। তারা বলেছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তাদের ওই অভিযান প্রয়োজন ছিল। মিয়ানমার এখনও আইসিজে’র মামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয় নি। তবে গত সপ্তাহে তারা বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে আইসিসি তদন্ত করছে না। আইসিসির সদস্য নয় মিয়ানমার। কিন্তু আদালত বলেছে, যেহেতু মিয়ানমারের ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশ তাই তাদের বিরুদ্ধে বিচার করার এক্তিয়ার আছে আইসিসির।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর