× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুত্রসন্তান জন্ম দিতে না পারায় তালাক

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ২০, ২০১৯, বুধবার, ১:৩৯ পূর্বাহ্ন

পুত্র সন্তান জন্ম দিতে না পারায় ২৮ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে তিন তালাক দিয়েছেন তার স্বামী। এ অভিযোগ করে থানায় মামলা করেছেন মেহরাজ বেগম। ঘটনাটি ভারতের হায়দরাবাদের। অভিযোগে মেহরাজ বেগম বলেছেন, কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। কিন্তু পুত্র সন্তান ধারন বা জন্ম দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে তাকে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী। এর আগে নয় মাস তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
 
উল্লেখ্য, জুলাই মাসে ভারতের পার্লামেন্টে নারীদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক মুসলিম ওমেন অ্যাক্ট পাস করে।
এর আওতায় তিন তালাককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই আইন পাস হওয়ার পর হায়দরাবাদের এই তালাকের ঘটনা ভারতে তৃতীয়। এ মাসের শুরুতে একজন অটোরিক্সা চালককে তিন তালাক দেয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাক উচ্চারণ করার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে একজন স্কুল শিক্ষককে। মেহরাজ বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ দস্তগীর (৩৮)। তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রত্যাশা করছিলেন। কিন্তু মেহরাজ বেগম তা দিতে না পারায় তিনি আবার বিয়ে করতে চান। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য তিনি মেহরাজের ওপর নির্যাতন শুরু করেন। দস্তগীরের সঙ্গে মেহরাজের বিয়ে হয়েছিল ২০১১ সালে। ওই সময় মেহরাজের পরিবার তাকে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৩ লাখ রুপি তুলে দেয় দস্তগীরের পরিবারের হাতে।

২০১৩ সালে অন্তঃসত্ত্বা হন মেহরাজ। কিন্তু তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। ২০১৬ সালে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। মেহরাজের পিতা মোহাম্মদ ওসমান বলেন, সম্প্রতি মেহরাজের আবার গর্ভপাত হয়। এরপর চিকিৎসকরা বলেছেন, সে আর কোনো সন্তান ধারণ করতে পারবে না। তার পর থেকেই তার ওপর পরিবারের সদস্যরা ও তার স্বামী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, মেহরাজ কন্যা সন্তান প্রসব করার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এক লাখ রুপি যৌতুক দাবি করতে থাকে। এ অবস্থায় চারমিনারে নারীদের জন্য পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হাজির হন মেহরাজ। তাদের কাছে অভিযোগ দেন তিনি। এর ফলে স্বামী ও স্ত্রীকে কাউন্সেলিং দিতে ডাকা হয়। ওই পুলিশ স্টেশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ওই দম্পতিকে পাঠানো হয় হায়দরাবাদ পুলিশের কাউন্সেলিং সেন্টার ভরসা সেন্টারে। প্রথমে তারা পুলিশের কাছে যান মে মাসে। আবার যান সেপ্টেম্বরে। ওই পুলিশ কর্তকর্তা আরো বলেন, আমরা আনীত অভিযোগ তদন্ত করছি। এখনও এ বিষয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নি। অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভরসা সেন্টার থেকে কাউন্সেলিং শেষ করে তারা বাড়ি ফিরে যান। এরপর নভেম্বরের শুরুর দিকে মেহরাজকে তিন তালাক দেন তার স্বামী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর