ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবকে নিয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে পাল্টাপল্টি অবস্থান নিয়েছে শাপলা ফোরামের শিক্ষকদের একাংশ। সোমবার ড. মাহবুবের দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর কুশপুত্তলিকা দাহন করে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপ। এতে নেতৃত্ব দানকারীদের বহিস্কার দাবি করে আন্দোলনে যাবার হুশিয়ারি দিয়েছেন ফোরামের কনিষ্ঠ শিক্ষকরা।
গত ১৮ই নভেম্বর ডিবিসি চ্যানেলে ড. মাহবুবর রহমানকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে তার দূর্নীতি ও ছাত্রলীগের ওপর গুলি বর্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ উঠে আসে। মঙ্গলবার ড. মাহবুবের শিবির কুশপুত্তলিকা বানিয়ে দাহন করে ছাত্রলীগ। পরে বুধবার শাপলা ফোরামের কনিষ্ঠ ২০/২৫ জন শিক্ষকরা ভিসির কাছে ওই ছাত্রলীগ নেতাদের বহিস্কার দাবি জানায়। তবে ফোরামের সিনিয়র কোন শিক্ষক তাদের সঙ্গে যাননি। দাবি আদায় না হলে শনিবার থেকে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এদিকে শিক্ষকদের দাবির পরে বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী ৪ নেতা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবু। এসময় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মাহফুজ মাসুদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন ও ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। তারা দাবি করেন, ভিসি বিভিন্ন মাধ্যমে আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারীদের নেতা বানানোর প্রলোভন দিয়েছেন। প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করলে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের হত্যা ও ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করে তারা।
একই সঙ্গে তারা ভিসির আস্থাভাজন ড. মাহবুবকে প্রশ্রয় দেয়ারও অভিযোগ তোলে। এসব নেতাদের কোন ক্ষতি হলে তার দ্বায়ভার ভিসিকে নিতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে তারা।
অভিযোগের বিষয়ে ভিসি ড. রাশিদ আসকারী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের প্রতি আলাদা আনুগত্য নাই। শুধু মাহবুবুর রহমান কেন? কারো প্রতি আমার আলাদা বিদ্রোহ, বিরাগ ও অনুরাগ নেই। এসমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি জীবনে কখনো ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে হস্থক্ষেপ করিনি।