তরতাজা এক যুবকের নাম মাহবুবুর রহমান। বয়স ৩২-৩৩ বছর। বিয়ে করেছেন ২ বছর আগে। কোনো সন্তান নেই তার। বাড়ি সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামে। পিতা মো. সারুয়ার মিয়া। দরিদ্র পরিবারেই জন্ম তার। অর্থাভাবে বেশি পড়াশোনাও ভাগ্যে জোটেনি মাহাবুবের।
সুঠাম দেহের অধিকারী টগবগে যুবক মাহাবুবের মুখে হাসির কমতি ছিল না। সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছে। সংসারেও সময় দিয়েছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ৪ বছর আগে হঠাৎ মাহবুব কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। বিপর্যয় নেমে আসে যুবকটির জীবনে। হারিয়ে যায় তার মুখের হাসি। ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে সে। দৈহিক সৌন্দর্য্যেও ভাটা পড়তে থাকে। খাওয়ার রুচি কমে যায়। আকাশ ভেঙে পড়ে মা-বাবার মাথায়। ব্যয়বহুল চিকিৎসা। প্রকাশ্যে ও নীরবে চোখের জলে বুক ভাসাতে থাকে তার স্ত্রী। সপ্তাহে ৩ বার তার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়। প্রত্যেক মাসে খরচ ৩২-৩৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৬ লক্ষাধিক টাকা। আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব প্রতিবেশীরাও কুলিয়ে উঠতে পারছে না। জায়গা জমি সব শেষ। বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বনই রইল না মাহাবুবের। মাহাবুব এখন শুধু একা একা কাঁদেন। চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে যুবকটি। মরিতে চাহিনা আমি এ সুন্দর ভুবনে। মাহাবুব এখনো বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। আবার বিনা চিকিৎসায় কষ্ট ও যন্ত্রণায় ছটফট করছে। দেশবাসীর কাছে মাহাবুবের আকুতি, ‘আমি আরো বাঁচতে চাই। আমি এখন নিঃস্ব। মা বাবার হাতেও কিছু বাকি নেই। কিছু দিতে পারি না, তাই স্ত্রীও রাগ করে চলে গেছে। আমি তো একটা মানুষ। কোটি মানুষের মাঝ থেকে আমি বিনা চিকিৎসায় মারা যাব? আপনাদের হৃদয় কি আমার জন্য একটুও কাঁদবে না? দয়া করে আমার মৃত্যুর আগে একটু স্বস্তি দিন। চিকিৎসা করে একটু আরামে আর কয়টা দিন দুনিয়াতে বাঁচার সহযোগিতা আপনারা করেন। দেশের সব বিত্তবান ভাই-বোনদের কাছে আমার আকুল আবেদন আপনারা আমাকে অন্তত চিকিৎসা সহায়তাটা করুন। আমার ও মা-বাবার আত্মা আপনাদের জন্য দোয়া করবে। আমি বেঁচে থাকার জন্য দেশের মানুষের সহায়তা চাই। আপনাদের দয়ায় আল্লাহর রহমতে আরো কিছুদিন বাঁচতে চাই।’ (মাহাবুব-০১৪০৩-৬৩৫৪১০)।