× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সম্মেলনকে ঘিরে চাঙ্গা রংপুর আওয়ামী লীগ

বাংলারজমিন

জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে
২১ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের আনাগোনায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে নগরীর বেতপট্টিস্থ দলীয় কার্যালয়। জাতীয় দিবসের আলোচনা সভা কিংবা অন্য কোনো কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন সকল নেতাকর্মী। গোপনে বৈঠক করে নেতারা সম্ভাব্য পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য দল ভারী করছেন। কার্যালয়ে প্রভাব দেখাতে কিছু নেতাকে সামনে-পেছনে কর্মী বাহিনী নিয়ে চলাফেরা করতেও দেখা যাচ্ছে নিয়মিত। দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২৬শে নভেম্বরের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। পদপ্রত্যাশী নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন নিয়মিত। সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় কার্যালয়ের চিত্রই যেন পাল্টে গেছে।
কে হবেন নতুন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এমন আলোচনা চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে হাটবাজারের সর্বত্রই। তবে সভাপতি পদে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন এবং জেলা সহ-সভাপতি সাবেক নারী সাংসদ অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মাজেদ আলী বাবুল, তুহিন চৌধুরী, আলোচনায় রয়েছেন। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল জানিয়েছেন তিনি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে সর্বশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রংপুর টাউন হলে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিলেও সভায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। এরপর আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে সংগঠন চলার পর ২০০৯ সালে ঢাকা থেকে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। আজ কাউনিয়া উপজেলা, ১০ই নভেম্বর পীরগাছা, ১১ই নভেম্বর পীরগঞ্জ, ১২ই নভেম্বর সদর উপজেলা এবং ১৩ই নভেম্বর মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলনকে সফল করতে অর্থ উপ-কমিটি, মঞ্চ-সাজসজ্জা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটি, আপ্যায়ন উপ-কমিটি, অভ্যর্থনা উপ-কমিটি, প্রচার উপ-কমিটি, দপ্তর উপ-কমিটিসহ ৬টি উপ-কমিটি গঠন করে নেতাকর্মীদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। আগামী ২৬শে নভেম্বর সকাল ১১টায় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এরপর দুপুরে টাউন হলে জেলার প্রায় সাড়ে ৩শ’ কাউন্সিলরের ভোট কিংবা মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, দলের সম্মেলন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। গত ১৪ই সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে রংপুর টাউন হলে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় আমি জোরালোভাবে সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতারা ওই সভাতেই আগামী ২৬শে নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেন। এবার আমি কোনো পদেই নির্বাচন করছি না। তবে দল যদি চায় তাহলে আমি থাকবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলা বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাও করা হয়েছে। আমি উপজেলা-জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, নব্বই সালে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলাম। জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকে ৭৩টি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটিকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি। ইউনিয়ন, উপজেলা, জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে জয়ী করতে মাঠে সক্রিয় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতারাই আগামীর নেতৃত্বে এগিয়ে থাকবে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলার নেতৃবৃন্দ সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আমার প্রতি বিচার-বিশ্লেষণ করে তাদের রায় দেবেন। তবে দল যে দায়িত্ব দেবে তা আমি যথাযথভাবে পালন করবো। জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। দল যদি চায়, আমি সাধারণ সম্পাদক পদটি আশা করতেই পারি। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাজেদ আলী বাবুল বলেন, সম্মেলন কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এবার আমি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে চাই। এজন্য সব স্তরের নেতাকর্মীদের কাছে ছুটে যাচ্ছি। দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল জানান, আমি সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য নিজেকে যোগ্য মনে করি, সে লক্ষ্যে আমি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর