সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে টঙ্গীতে গতকাল সকাল থেকে গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকর মহাসড়ক অবরোধ করে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. শরিফুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) টঙ্গী জোন মো. শাহাদাত হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অবরোধকারীরা টঙ্গীর চেরাগ আলী মার্কেট, মিলগেইট, স্টেশন রোড, বোর্ড বাজারসহ বিভিন্নস্থানে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের উপর দফায় দফায় হামলা চালায়। এ সময় গণপরিবহন ও মালবাহী ট্রাক সড়কের দু’পাশে দাঁড় করিয়ে রাখে। উচ্ছৃঙ্খল পরিবহন শ্রমিকরা গণপরিবহনের ড্রাইভার-হেলপারদের মারধর ও ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং মহাসড়কে চলাচলরত প্রাইভেটকারে কাদা মাখিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর চেরাগ আলী ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় একদল পরিবহন শ্রমিক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহনের উপর হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালায়।
এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা ভাঙচুরের ছবি তুলতে গেলে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল অবরোধকারীরা তাতে বাধা দেয় এবং মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে মনছুর শেখ নামে এক সাংবাদিকের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চেরাগ আলী ট্রাকস্ট্যান্ডের চালক-শ্রমিক-মালিকরা জানিয়েছেন, সড়কের নয়া আইন যতক্ষণ পর্যন্ত বাতিলের ঘোষণা না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত মহাসড়কে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. শরিফুর রহমান বলেন, পুলিশের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপকারীদের ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।