× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় তূর্ণার চালক, সহকারী ও গার্ড দায়ী

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেল স্টেশনে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য আন্তঃনগর ৭৪১ নম্বর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকোমাস্টার (চালক), সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ড দায়ী। গতকাল রাজধানীর রেলভবনে মন্দবাগ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মোট পাঁচটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এসব প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তঃনগর ৭৪১ নম্বর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ড সিগন্যালগুলো যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করে ট্রেন পরিচালনার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, সিগন্যাল অমান্য করায় সংঘটিত এ দুর্ঘটনার জন্য কমিটিগুলো তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকোমাস্টার তাছের উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার অপু দে এবং গার্ড মো. আব্দুর রহমানকে দায়ী করা হয়। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার আগে চালক যে সময় পেয়েছেন, চাইলে তিনি ট্রেন থামাতে পারতেন। কিন্তু তিনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্রেক প্রয়োগ করেননি।
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, কমিটিগুলো ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কিছু সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো (১) ট্রেনের লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য লোকোমোটিভ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা; (২) ট্রেনের অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; (৩) ট্রেনের অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের শূন্য পদ পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া; (৪) স্টেশন ও ট্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ক্লোজ ইউজার গ্রুপের মোবাইল ফোন অথবা আধুনিক অন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা এবং (৫) বাংলাদেশ রেলওয়েতে এটিএস (অটোমেটিক ট্রেন স্টপ) ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে বলে কমিটিগুলো আশা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, ১১ই নভেম্বর রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের লুপলাইনের মুখে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৬ জন নিহত এবং আহত হয় শতাধিক যাত্রী। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর