× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলা /তদন্তে আরো ৬০ দিন পেলো পিবিআই

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার

প্রায় ৩০ বছর আগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সাগিরা মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আর এই হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আরো ৬০ দিন সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে পিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন সময় আবেদন করেন।

এর আগে গত ২৬শে জুন এই মামলার ওপর ২৮ বছর ধরে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ৬০ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় মামলাটি গতকাল শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল। মামলার নথি থেকে জানা যায়, সাগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালে ভিকারুননিসা নুন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যান।
বিকাল ৫ টায় সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় নিজেকে বাঁচাতে দৌঁড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য চলাকালে রাষ্ট্র পক্ষের এক আইনজীবীর আবেদনে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। পরে ওই মামলাটি অধিকতর তদন্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মারুফ রেজা। ওই বছরের ২রা জুলাই হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর মামলাটির ওপর স্থগিতাদেশ থাকে। সম্প্রতি মামলাটি নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়ে মামলাটির ওপর হাইকোর্টে শুনানি করেন। এরপর আলোচিত এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

গত ১০ই  নভেম্বর মামলার সন্দেহভাজন আসামি আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ানকে (৫৯) রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১২ই নভেম্বর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহিনকে (৬৪) ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে গত ১৩ই নভেম্বর মারুফ রেজাকে (৫৯) তার বেইলি রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা আদালতে সভগরা হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর