× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিখা অনির্বাণে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ২১, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:০৯ অপরাহ্ন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ  সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। প্রতিবছর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।

এ দিবস উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ এবং সরকার প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার তাদের স্বাগত জানান।

প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। পরে প্রেসিডেন্ট শিখা অনির্বাণ চত্বরে রাখা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।

প্রেসিডেন্ট পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় গার্ড অফ অনার দেয়। প্রধানমন্ত্রীও পরে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সারাদেশে সেনা নিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপণা, বিমান বাহিনী ঘাঁটিসহ তিন বাহিনীর অধীনের বিভিন্ন স্থাপনায় নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

ফজরের নামাজের পর দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও বিমান ঘাঁটির মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এ দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়।

শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি শেষে তিন বাহিনী প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পরে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, তাদের উত্তরাধিকারী এবং ২০১৯-২০২০ সালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।     

বিকালে তিনি ঢাকা সেনানিবাসে সম্প্রসারিত ও পুনঃনির্মিত সেনাকুঞ্জের উদ্বোধন করবেন এবং সেখানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

এছাড়া তিন বাহিনীর প্রধান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নিজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেবেন। ঢাকা ছাড়াও সাভার, বরিশাল, কক্সবাজার, বগুড়া, সিলেট, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর, রাজেন্দ্রপুর ও খুলনা সেনানিবাস/ঘাঁটিতে সংশ্লিষ্ট এরিয়া সদর দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর