লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকম রুহুল আমিনের ভাগিনা ফিরোজ আলমকে এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চাঙ্গিরগাঁও গ্রামের খলিল শেখের বাড়িতে হাতেনাতে আটক করেন এলাকাবাসী। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আলাউদ্দিন আলোর নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একদল সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কলেজছাত্রীর পরিবারকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লম্পট ফিরোজকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারপর থেকে ওই কলেজছাত্রীর পরিবার গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছেন না। এ ঘটনায় উপজেলাব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের মৃত মো. খলিল শেখের মেয়ে লক্ষ্মীপুর দত্তপাড়া কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে গত ৩ বছর থেকে বিয়ের প্রলোভনে অবৈধভাবে দৈহিক মেলামেশা করে আসছে ফিরোজ। মঙ্গলবার সকালে ফিরোজ দেখা করতে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় দুজনে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়।
এলাকাবাসী টের পেয়ে ফিরোজকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। ওই কলেজছাত্রী জানান, ৩ বছর আগে ফিরোজ তার মামা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকম রুহুল আমিনের মাধ্যমে একটি চাকরি দেয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নেয়। এরই সূত্র ধরে তার সঙ্গে আমার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে সে আমাকে বিয়ে করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে আমার সর্বস্ব লুটে নিয়ে গেছে। এখন আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপাই নেই। কলেজছাত্রীর মা বলেন, ফিরোজ চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এলাকাবাসী তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করলে কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই আরজু ও আলোসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ফিরোজকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমরা গৃহবন্দি অবস্থায় আছি। ফিরোজের মামারা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে, তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে আইনের আশ্রয় ও কারো কাছে না বলার জন্য। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।