× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বেনাপোল কাস্টমসের ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি ১১ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

বাংলারজমিন

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
২২ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

বেনাপোল কাস্টম হাউসের ভল্ট ভেঙে ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১৭ কেজি সোনা চুরি হওয়ার ১১ দিন পরও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এমন কি উদ্ধারও করা যায়নি চুরি হওয়া সোনা। আর এজন্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও পিবিআইকে দিয়ে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী।
চিঠিতে বলা হয় গত ৮ই নভেম্বর তারিখ হতে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) এর সরকারি ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চলাকালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের মূল্যবান শুল্ক গুদামের নিরাপদ ভল্ট ভেঙে ১৭ কেজি সোনা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্র্বৃত্তরা। কিন্তু চুরি হওয়ার পর ১১ দিন পার হয়ে গেলেও সোনা উদ্ধার বা চোর শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (চ.দা.) মো. এমদাদুল হক বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ১১ই নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ কাস্টমস, পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও র‌্যাবের ইনভেন্ট্রি অনুযায়ী শুল্ক গুদাম থেকে ১৬৫৮৮.৪৩ কেজি স্বর্ণ, ১৯,২৩০ ভারতীয় রুপি এবং ৩৭,০০০ বাংলাদেশি টাকা চুরি যায়। চুরির ঘটনা জানার পরপরই কমিশনার ভল্টের গোডাউনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব শাহিবুল সর্দারকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্যকেও অবহিত করা হয়। বন্ধের সময় কর্মরত ৪ (চার) জন সিপাইকেও দায়িত্ব অবহেলার জন্য তাৎক্ষণিক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ, পিবিআই, গোয়েন্দা, ডিবি, সিআইডি, এনএসআই সহ সকল সংস্থাকে তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ত করা হয়। তাদের তদন্ত অদ্যাবধি চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে যুগ্ম কমিশনার শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কাস্টম হাউস ও চেকপোস্টের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মূল্যবান গুদাম পাহারার জন্য পৃথক সিপাই ও আনসার পদস্থ করা হয়েছে।
চুরির ঘটনায় বন্দর থানা, পুলিশ সূত্রে জানা যায় বহিরাগত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আজিবর রহমান, মো: সুরত আলী, মহব্বত হোসেন, আসাদুজ্জামান, আলাউদ্দিন, সুলতান, আবুল হোসেন, টিপু সুলতান, ইমরান হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন সময়ে গুদাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। শুল্কগুদামের নিরাপত্তার দায়িত্ব্বে নিয়োজিত নিয়োজিত সিপাই এবং আনসার সদস্যগণকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে চুরি যাওয়া স্বর্ণের পরিমাণ ১৯.৩১৮ কেজি বলা হয়। পরবর্তীতে ইনভেন্ট্রি করে দেখা যায়, শুল্কগুদামে ১৯৭৩ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আটককৃত বিভিন্ন দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা, রুপা ও রৌপ্যসদৃশ বস্তু, স্বর্ণের গহনা ও স্বর্ণের বার, ঘড়ি ইমিটেশনসহ আরো অন্যান্য মূল্যবান জিনিস রক্ষিত থাকলেও পুরাতন জিআর’র কোনো স্বর্ণ চুরি হয়নি। শুধুমাত্র ২০১৭ ও ২০১৮ সালে আটককৃত স্বর্ণই চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া ১৬.৫৮৮ কেজি স্বর্ণ এআরও বিশ্বনাথ কুণ্ডু দায়িত্বে থাকাকালীন গুদামে জমা হয়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ নুরুজ্জামান জানান, রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরির দুঃসাহসকারী দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে শনাক্ত ও গ্রপ্তার না করলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ ও সক্ষম পুলিশ বাহিনী ১১ দিনেও কেন আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি এ বিষয়ে বেনাপোলের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করেন।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর