× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে সেই নিপু গ্রেপ্তার

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২২ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

সিলেটের রাজনীতির মাঠের বহুল আলোচিত হিরন মাহমুদ নিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হলেও প্রকাশ্যে ছিল। দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল রাজনীতির মাঠ। ‘পলাতক’ অবস্থায় নিপু ঘটিয়েছে অঘটন। হয়েছে মামলাও। এরপরও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে পলাতক থাকা নিপু গ্রেপ্তার হয়েছে। র‌্যাব তাকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে।
আর গতকাল সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেছে। শাহপরান থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিপুর বিরুদ্ধে চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। একটি তদন্তাধীন মামলার আসামিও নিপু। পুলিশ গতকাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। হিরন মাহমুদ নিপু সিলেট টিলাগড় কেন্দ্রিক আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা। কয়েক বছর আগে ছিলেন ছাত্রলীগের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও।

এক সময় তিনি টিলাগড় কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। ওই সময় তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন সিলেটের মানুষ। এমসি কলেজ দখল, পাল্টা দখল, হোস্টেল পোড়ানোসহ নানা ঘটনায় তিনি আলোচিত হয়েছেন। তার কারণে সিলেটে ছাত্রলীগ বিতর্কিত হয়েছে। তবে শেষ পর্যায়ে নিপু আর টিলাগড় কেন্দ্রিক রাজনীতিতে ঠিকেন নি। নিজ এলাকা বালুচরে নেন অবস্থান। এখন বালুচর কেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতির নেতা তিনি। বালুচরেও ঘটেছে নানা ঘটনা। গতকাল সকালে র‌্যাব-৯ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নগরীর বালুচর এলাকা থেকে হিরন মাহমুদ নিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা চলমান রয়েছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হিরন মাহমুদ নিপু উত্তর বালুচর এলাকার মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে। নিপুকে রাতে সিলেটের শাহপরান থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব। সকালে পুলিশ তাকে চার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। সিলেটের শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ৪ মামলায় পলাতক আসামি ছিল নিপু। তাকে ওই চার মামলায় চালান দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। সেই মামলায়ও নিপুকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি জানান, আদালত নিপুকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এদিকে নানা বিতর্কিত ঘটনার নায়ক সিলেটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিরন মাহমুদ নিপু। গত মাসে টুলটিকর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড হয়েছিল নিপুর কারণে। তার মনোনীত প্রার্থীকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছিল। পরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সম্মেলন না করে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় অবশ্য নিপুর অনুসারীরা দুষছেন প্রতিপক্ষকে। সম্মেলনকে বানচাল করতে নিপুর ওপর মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে জানান তারা। এর আগে নিপু সিলেট মহানগর যুবলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী ছিলেন।

পরে অবশ্যও তিনি আর নির্বাচনে প্রার্থী হননি। সিলেটে কয়েক বছর আগে বাম নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সমাবেশে হামলা হয়েছিল হিরন মাহমুদ নিপুর নেতৃত্বে। নগরীর কোর্ট পয়েন্টে নিপুর নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে এসে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছিল নিপুর নাম। এ ঘটনায় নিপুসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি নিপুর নেতৃত্বাধীন থাকা সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এমসি কলেজের শতবর্ষী ছাত্রাবাসে আগুন দেয়ার ঘটনায়ও নিপুর নাম আলোচিত হয়। গত ১৫ই এপ্রিল বালুচর এলাকার ব্যবসায়ী কাইয়ুম চৌধুরী আনাছ সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে নিপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। এ সংবাদ সম্মেলনের পর নিপুকে নিয়ে তোলপাড় চলে এলাকায়। এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের পাশে জমি দখল করে অফিস নির্মাণ করেছিলেন নিপু। ওই অফিসে নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটতো। এমনকি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগ উঠে। পরে প্রশাসন সেই অফিস ভেঙে দিয়েছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর