× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘নাচের মূলধারার শিল্পীদের উপেক্ষা করা হচ্ছে’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
২২ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ‘ওশান ড্যান্স ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চারদিন ব্যাপি এই আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও আরো পনেরটি দেশ অংশ নিচ্ছে বলে জানান  নৃত্যযোগ’র সভাপতি ও বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী আনিসুল ইসলাম হিরু। তিনি বলেন, আজ থেকে চার দিনব্যাপী এ উৎসবে বিশ্বের ১৫টি দেশের প্রায় ২০০ জন নৃত্যশিল্পী অংশ নেবেন। এটি আমাদের দেশের জন্য অনেক সম্মানের। বাংলাদেশ ছাড়াও পনেরটি দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ভারত, হংকং, চায়না, ফিনলান্ড, ইউএস ও তাইওয়ান। বিশ্বব্যাপী নৃত্যশিল্পীদের সংগঠন দ্য ওয়ার্ল্ড ড্যান্স অ্যালায়েন্স-এশিয়া প্যাসিফিকের (ডব্লিউডিএ-এপি) বাংলাদেশ শাখার ‘নৃত্যযোগ’ প্রথমবারের মতো এই আয়োজনটি করেছে। এমন একটি আয়োজন করতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত।
আমি বিশ্বাস করি সুন্দরভাবে এই আয়োজনটি আমাদের শেষ হবে। উৎসবে কি কি থাকছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উৎসবের চার দিনই ভোর থেকে মারমেইড ইকো রিসোর্ট সংলগ্ন সৈকতে চলবে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, কর্মশালা, সেমিনার। সন্ধ্যা থেকে কক্স কার্নিভাল মিলনায়তনে চলবে দুই দফা নৃত্য পরিবেশনা। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসবেন আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচিত শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে চলবে জাতীয়ভাবে নির্বাচিত শিল্পীদের পরিবেশনায় লোকনৃত্য, সমসাময়িক নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য ও নৃত্যনাট্য। এছাড়া উৎসবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নৃত্যশিল্পী আকরাম খান প্রেরিত একটি ভিডিও দেখানো হবে। এই উৎসবে হিরুকে দর্শক কিভাবে দেখবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উৎসবের শেষ দিন আমি ‘আলী বাবা চল্লিশ চোর’ নিয়ে থাকছি। সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার ও নৃত্যাঞ্চল যৌথভাবে এটি আয়োজন করছে। এতে নীপা মর্জিনা চরিত্রে, শিবলী মহম্মদ আলীবাবা এবং আমি আবদুল্লাহর চরিত্রে থাকছি। দর্শক বেশ উপভোগ করবে বলে আশা করছি। বর্তমানে সারাদেশে নাচের অনেকে ছেলে-মেয়ে দেখা যায়। শোবিজের অন্য মাধ্যমগুলোতে অনেকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন। নৃত্যশিল্পের এই ক্ষেত্রে কেমন সুযোগ আছে বলে হিরু মনে করেন? তিনি বলেন, নাচকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়। সারা বিশ্বেই এটির এখন দারুণ চাহিদা। আমাদের দেশেও অনেকে এখন শুধু নাচের সঙ্গে জড়িত আছেন। তবে আমাদের দেশে এটির পৃষ্ঠপোষকতার ব্যাপারে সকলের আরো বেশি এগিয়ে আসা উচিৎ। আমাদের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটু আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। তাদের দিক থেকে বেশিরভাগ সময় নাচের মূলধারার শিল্পীদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। শোবিজের অন্য ক্ষেত্রের শিল্পীদের দিয়ে তারা মঞ্চে নাচের অনুষ্ঠান করেন। একইসঙ্গে আজকাল টিভি চ্যানেলগুলোতেও দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মূলধারার শিল্পীদের না ডেকে নাটক-ফিল্মের নায়িকাদের দিয়ে নাচের অনুষ্ঠান বেশি করানো হচ্ছে। একজন প্রকৃত নৃত্যশিল্পীর কি কি গুণাবলী থাকতে হবে বলে মনে করেন হিরু? তিনি বলেন, নাচ গুরুমুখী শিক্ষা। এটিকে অবহেলা করার কিছু নেই। নাচের প্রকৃত শিল্পী হওয়ার জন্য অবশ্যই গুরুমুখী হতে হবে। আগ্রহী ব্যক্তির মধ্যে অধ্যবসায় থাকতে হবে। একইসঙ্গে ভালো মানুষ তো হতেই হবে। এই সময়ে নতুন যারা নাচে আসছে তাদের মধ্যে প্রবল সম্ভাবনা আছে। আমি মনে করি যদি এরা সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পায় তাহলে আমাদের দেশকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। আলাপনে হিরু আসছে ডিসেম্বরের ব্যস্ততা সম্পর্কেও জানান। তিনি বলেন, এখন আমাদের দেশে শো-র মৌসুম। তাই ডিসেম্বরে বেশ কিছু শো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। একইসঙ্গে ওই মাসে নেপালে দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিবো। ১৬ ও ১৮ই ডিসেম্বর নেপালে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে দুটি অনুষ্ঠানে আমি থাকবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর