× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গোলাপি বলের টেস্টে ইডেন থেকে লাইভ বেটিং

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ২৪, ২০১৯, রবিবার, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টে বেটিংয়ের কালো ছায়া। অভিনব লাইভ বেটিং হয়েছে ইডেন উদ্যান থেকে। পুলিশের মতে, এই প্রথম ইডেন থেকে লাইভ বেটিংয়ের মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এছাড়াও শহরে গত কয়েকদিন ধরে চলেছে এই গোলাপি বলে ঐতিহাসিক ভারত-বাংলাদেশের টেস্ট নিয়ে বেটিং। বুকিদের কাছে গোলাপি বলের টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কলকাতায় বেটিং চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পুলিশের কাছে আগেই নানা সূত্রে এই খবর এসেছিল। ফলে শনিবার ইডেনেই হাতেনাতে ধরা পড়েছে লাইভ বেটিং চক্রের ৫ জন।  শহরে বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ৯ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবুও বেটিং চলছে বলে পুলিশের একাংশের ধারণা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইভ সম্প্রচারের মতোই লাইভ বেটিং চলছিল ইডেনের মাঠে। শনিবার রাতে ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে খেলা চলাকালীন ইডেনের জি-ওয়ান ব্লকে নজরদারি করার সময়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ‘লাইভ-বেটিং’ চক্রের হদিস পেয়েছেন। সেখানে মোবাইলে বেটিং-অ্যাপের মাধ্যমে পাঁচ জনকে বেটিং করতে হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন গোয়েন্দারা। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা শম্ভু দয়াল, মুকেশ গারে, চেতন শর্মা, অভিষেক সুওয়ালকা এবং আয়ুব আলিকে মোবাইল, ল্যাপটপ এবং ১ লাখ ৪০ হাজার রুপি-সহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া  শুক্রবার খেলা চলাকালীনই গোয়েন্দারা ক্রিকেট বেটিং চালানোর অভিযোগে উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকার বৃন্দাবন বসাক স্ট্রিটের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে কুন্দন সিংহ, মুকেশ মালি, সঞ্জয় সিংহ এবং সারজিল হোসেন নামে বেটিং চক্রের চার পান্ডাকে। ধৃতদের থেকে দু’টি কম্পিউটার, চারটি মোবাইল ফোন এবং দু’ লাখ রুপি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বেটিং চক্রের মাথা ছিল সন্দীপ সিংহ ওরফে গোবিন। ভারতের পক্ষে যেখানে বাজির দর এক রুপিতে ৯০ পয়সা। সেখানে বাংলাদেশের দর মাত্র ১০ পয়সা। কিন্তু কলকাতায় ওই খেলার আগ্রহ থাকায় গত দু’দিন ধরেই বেটিং বাজারের গ্রাফ তুঙ্গে উঠেছিল বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে ধৃতেরা। পুলিশের মতে, এই বেটিং চক্র চলে দুবাই থেকে। মুম্বইয়ে রয়েছে চক্রের এজেন্ট। সেখান থেকে অনলাইনে কলকাতা-সহ গোটা দেশে বেটিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ধৃতেরা পুলিশকে জানিয়েছে, যে কেউ ওই বেটিংয়ে অংশ নিতে পারে না। বেটিংয়ে অংশ নিতে হলে প্রথমে আইডি কিনতে হয়। তার জন্য ধৃতেরা পেত প্রায় তিরিশ হাজার রুপি। ওই টাকা পাওয়ার পরেই যিনি আইডি কিনতেন তাঁকে ধৃতেরা একটি নির্দিষ্ট অ্যাপসের আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিত। তা দিয়ে ওই অ্যাপসে লগইন করলেই বেটিং-এ অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র মিলত। পুরোটাই চলত অনলাইনে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অনলাইনে ওই খেলার ছাড়পত্র মেলার পরেই প্রতিটি বল বা রানের হিসেবে বাজি ধরা হত। এমনকি খেলার শুরুতে টস থেকে শুরু করে ম্যাচ চলাকালীন বৃষ্টি হবে কি না, তারও বাজি ধরা যায় ওই অনলাইনের মাধ্যমে। এদিকে গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহকে পুঁজি করে চলেছে টিকিটের কালোবাজারি। বহু বাংলাদেশিও টিকিটের খোঁজে ইডেনের বাইরে হাজির হয়েছেন। এদের কাছে চড়া দামে  টিকিট বিক্রি করতে গিয়ে গত ৫ দিনে প্রায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৮০টি টিকিট। পুলিশ জানিয়েছে, অনলাইনে টিকিট কেটে চড়া দামে বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর