× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হলি আর্টিজান হামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এক জঙ্গি ভারতের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলারও আসামী

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) নভেম্বর ২৮, ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:২১ অপরাহ্ন

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হানার চক্রান্তের দায়ে বুধবার মৃত্যুদন্ড দেওয়া ৭ জন আসামীর মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় বিস্ফোরন মামলার অন্যতম আসামীও। সেই সোহেল মাফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লার বিরুদ্ধে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা  এনআইএ আদালতে চার্জশিটও দিয়েছে। এর আগেই সোহেল মাফুজের খোঁজে এনআইএ পুরস্কারও ঘোষনা করেছে। এনআইএ-র গোয়েন্দাদের মতে,  খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কান্ডেই প্রথম জানা গিয়েছে যে, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জেএমবি বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বসে ষড়যন্ত্র করছে। শুধু তাই নয় এখান থেকে গ্রেনেড জাতীয়  বিস্ফোরক তৈরি করে বাংলাদেশে পাচারের কাজও করতো জেএমবির সদস্যরা। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঠানো গ্রেনেডই গুলশান কাফেতে ব্যবহার করা হয়েছিল। এনআইএ-র মতে, ভারতে জেএমবির আমীর ছিল সে। ২০০৮ সালে তালহা শেখকে সঙ্গে করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে সোহেল মাহফুজ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, নদীয়া, মুর্শিদাবাদসহ বেশ কয়েকটি জেলায় জেএমবির স্লীপার সেল তৈরি করেছিল।এই সময় সে হাতকাটা নাসিরুল্লা হিসেবেই জঙ্গীদেও কাছে পরিচিত ছিল।  পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মাদ্রাসাতে জঙ্গী প্রশিক্ষণ ও বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।
তবে ২০১৪ সালে খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোলক তৈরির সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের পরেই তদন্তে জেএমবির বিশাল কর্মকান্ডের হদিশ মিলেছিল। তখনই সোয়েল মাফুজের নাম জানা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছিল সালাউদ্দিন সালেহিন ও জহিদুল ইসলামের নাম। এই দুই জেএমবি জঙ্গীকে ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিণতাই করা হয়েছিল। এরপরেই তারা পশ্চিমবঙ্গে এসে সোহেল মাহফুজের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। তবে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরেই জেএমবির নেতারা আত্মগোপন করেছিল। তবে গোয়েন্দাদের তাড়া খেয়ে এক সময় সোহেল মাফুজ বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছিল। সেখানেই ২০১৭ সালেরই জুলাইয়ে সে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশ পুলিশের হাতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর