আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দু’পক্ষ সিএফসি ও ভিএক্স। আজ রোববার সন্ধ্যার দিকে সিএফসি পক্ষের নেতা আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফি ও সুমন নাছিরকে কোপানোর খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ভিএক্স ও সিএফসির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় জিরো পয়েন্টে থাকা পুলিশের পাঁচটি ও প্রক্টরের গাড়ি ভাঙচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। এছাড়া জিরো পয়েন্টে অবস্থিত ওয়াচ টাওয়ারেও ভাঙচুর চালায় তারা। এসময় রহস্যজনকভাবে লোডশেডিং দেখা দেয়। তবে ভাঙচুরের পরপরই ইলেক্ট্রিসিটি ফিরে আসে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ৪ রাউন্ড টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই নেতার উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তর না করলে প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ পালন করবে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী গ্রুপ সিএফসি।
রেজাউল হক রুবেল বলেন, তাপসের খুনিদের মদদদাতা এবং সুমন নাছির ও আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফির উপর হামলা কারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলবে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা সাংবাদিকদের বলেন, শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহার করে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুলিশের ছয়টি গাড়িও ভাঙচুর করে দুষ্কৃতিকারীরা।
আমরা জড়িত গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ ও ২৯শে নভেম্বর দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। পুনরায় সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকায় ৩০শে নভেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ টি আবাসিক হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এসময় বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও পাথর উদ্ধার করলেও কাউকে আটক করা যায়নি।