তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসক যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সেই ঝড় কিছুটা হলেও আছড়ে পড়েছে সংসদে। সোমবার রাজ্যসভায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। তিনি প্রকাশ্যেই অভিযুক্তদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার পক্ষে মত দিয়েছেন। জয়া বচ্চনের এ ধরনের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হলেও জয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। গণপিটুনিকে সমর্থন না জানালেও যাদবপুরের এই সাংসদ টুইট করে জানিয়েছেন, তার (জয়া বচ্চন) মন্তব্যকে সমর্থন জানাচ্ছি। আমার মনে হয় না, নিরাপত্তা দিয়ে ধর্ষকদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার দরকার আছে বা বিচারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তার আরো মন্তব্য, সব মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, এমন কঠোর আইন আনা প্রয়োজন, ধর্ষণ করার আগে ১০০ বার ভাববে। এমনকি মেয়েদের দিকে খারাপ উদ্দেশ্যে তাকাতেও ভয় পাবে। পরবর্তী সময়ে অবশ্য মিমি টুইটের ভাষা খানিকটা পরিবর্তন করেছেন। গণপিটুনির কথা বললেও জয়া বচ্চন নির্ভয়া, কাঠুয়া এবং এই ঘটনার পর এবার সরকারের উচিত শাস্তির বিধান নির্দিষ্ট করার কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে হায়দরাবাদের পশুচিকিৎসককে ধর্ষণ এবং নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার দু’দিনের মধ্যে প্রায় একই জায়গায় আরো এক দগ্ধ মহিলার দেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
অন্যদিকে বলিউড অভিনেতা সালমান খান সাম্প্রতিক ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বলেছেন, মানুষের মুখোশের আড়ালে সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব শয়তানরা। নির্ভয়া কিংবা হায়দরাবাদের পশুচিকিৎসক তিল তিল করে যে মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করেছেন, এবার তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। সমাজে যাতে দ্বিতীয় নির্ভয়া কিংবা হায়দরাবাদের ওই তরুণীর মতো কারও হাল না হয়, তার জন্য প্রত্যেকটি মানুষকে একযোগে লড়াই করতে হবে। শুধু তাই নয়, মেয়ের মৃত্যুর পর ওই সব পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যে যন্ত্রণা ভোগ করছেন, এবার তা শেষ হওয়া উচিত। ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ অভিযানকে বাক্সবন্দি করে রাখলে আর চলবে না। সমাজের প্রত্যেকটি বেটির জীবন রক্ষা করতে, মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই নির্ভয়া কিংবা হায়দরাবাদের পশুচিকিৎসকের আত্মা শান্তি পাবে।