× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিগার-ফারজানার জোড়া সেঞ্চুরি /৬ রানে অলআউট মালদ্বীপ

খেলা

সামন হোসেন, কাঠমান্ডু (নেপাল) থেকে
৬ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার

সাউথ এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে নারী ক্রিকেট। এই আসরের দিয়েই আন্তজার্তিক মঞ্চে প্রবেশ করেছে মালদ্বীপ নারী ক্রিকেট দল। অভিষেক ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ১১ রানে অলআউট হয় মালদ্বীপ। আর গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে পোখরা ক্রিকেট মাঠে তারাই অলআউট হয়েছে মাত্র ৬ রানে। নিগার সুলতানা ও ফারজানা হকের সেঞ্চুরিতে ২৫৫ রান স্কোর গড়লে বাংলাদেশে জয় পায় ২৪৯ রানে। এ জয়ে আপরাজিত থেকেই  সোনা জয়ের মঞ্চে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। আগামী রোববার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। রাউন্ড রবিন পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ের স্মৃতি সালমাদের।
এর আগেও একটি দল টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। চলতি বছরের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইপর্বে রুয়ান্ডার বিপক্ষে ৬ রানে অলআউট হয়েছিল মালির মেয়েরা।
গতকাল ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো রানই নিতে পারেননি মালদ্বীপের দুই ওপেনার। উল্টো এই দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় তারা। তারপর রানের গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় ৬ রানে। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওভারেই ৩ উইকেট তুলে নেন রিতু মনি। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে পেয়েছিলেন পরপর উইকেট। পরের উইকেটটি পান ষষ্ঠ বলে। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩ মেডেন ১ রানে ৩ উইকেট নেন ডানহাতি মিডিয়াম পেসার। ৩ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার সালমা খাতুনও। ৩.১ ওভারে ১ মেডেনে ২ রান খরচ তার। রাবেয়া ও নাহিদা নিয়েছেন একটি করে উইকেট। মালদ্বীপের দুই ব্যাটার হয়েছেন রানআউট, আউট হওয়াদের সাতজন রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম জোড়া সেঞ্চুরির দেখা পায় বাংলাদেশ।  অসাধারণ মাইলফলক স্পর্শ করে নিগার ১১৩ ও ফারজানা ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন। গতকাল নেপালের পোখারায় টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের াধিনায়ক সালমা খাতুন।  শুরুটা হয় খুবই বাজে। ১৯ রানেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট। দলীয় ১০ রানের মথায় প্রথমে আউট হন শামীমা সুলতানা ৫ করে। এরপর ৭ রান করে ফেরেন সানজিদা ইসলাম। চাপের মুখে দারুণ জুটি গড়েন নিগার ও ফারজানা। দুজনে ১৮ ওভার ক্রিজে থেকে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ২৩৬ রানের জুটি। মাত্র ৩৫ বলে ফিফটি হাঁকানো নিগার সুলতানা প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন ৫৯ বলে। ফারজানার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি আসে ৪৯ বলে। দুজনে মিলে শেষদিকে ব্যাটে রীতিমতো ঝড় তোলেন। শেষ পাঁচ ওভারে আসে ৮০ রান। যার মধ্যে ১৫তম ওভার থেকে আসে ২৪ রান। মাত্র ৬৫ বলে ১৪টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১১৩ রান করেন নিগার। আর ৫৩ বলে ২০টি চারের সাহায্যে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন ফারজানা। ইনিংস শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ পৌঁছে ২৫৫/২-এ। এর আগে শ্রীলঙ্কাকে সাত উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। পরের দিন নেপালকে ৫০ রানে অলআউট হয়ে ১০ উইকেটের জয় পায় সালমা-জাহানারারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর