× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সোমবার লোকসভায় পেশ হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, শুক্রবার, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে লোকসভায় প্রবল বিতণ্ডা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বিরোধীদল এই বিলের প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। ধর্মীয় ভিত্তিতে আনা এই বিলকে সংবিধান বিরোধী আখ্যাও দিয়েছেন তারা।
গত বুধবারই ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিলটিতে অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার লোকসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বিলটি আগামী সোমবার লোকসভায় পেশ করবে সরকার।
বিষয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আলোচনা শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে। আলোচনার জন্য সময় ধার্য করা হয়েছে চার ঘণ্টা। বিজেপি শিবিরের মতে, উভয় কক্ষেই বিল পাশ করাতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এই বিল সংবিধান সম্মত কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হচ্ছে, এই যুক্তি দেখিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন অসমের বিশিষ্টজনেরা। তাদের অভিযোগ, বিলটি অসংবিধানিক।
একটি জনস্বার্থ মামলায় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে হীরেন গোঁহাইনরা শীর্ষ আদালতে দাবি করেছেন, বিলটি সংবিধানের পরিপন্থী।  কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, স্বাধীনতার সময়ে গান্ধী, নেহরু, মৌলানা আজাদ বা অম্বেডকরেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ধর্ম কখনওই নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি হতে পারে না। নাগরিকত্বে বিলে ঠিক উল্টোটা হচ্ছে। সেই কারণে আমার মতে বিলটি মৌলিক ভাবেই অসংবিধানিক।’
বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, নাগরিক বিলে কোথাও সরাসরি বলা না হলেও পরোক্ষে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা যদি মুসলিম হন, তা হলে এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন না। মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা, কিংবা বাংলাদেশের শিয়া অথবা পাকিস্তান থেকে আসা আহমদিয়াদের এ দেশে আশ্রয় দেয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। যদিও সরকারের যুক্তি, প্রতিবেশি মুসলিম রাষ্ট্রগুলোয় মুসলিমরাই সংখ্যালঘু। সেখানে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু সমাজ। তারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিয়েছেন। তাই তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার বলেছেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু সমাজতো আর ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না। হচ্ছে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টানেরা। তাদের আশ্রয় দেবে কে?’’ রোহিঙ্গাদের কেন ভারত আশ্রয় দেবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর