ঘরের মাঠে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের কাছে ২-১ গোলে হেরে লজ্জার সামনে আর্সেনাল। এই নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা নয় ম্যাচে জয়হীন থাকলো দলটি। ৪২ বছর পর টানা এত ম্যাচে জয়হীন থাকলো দলটি। এর আগে ১৯৭৭ সালে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচে জয়হীন ছিল আর্সেনাল। এই হারে ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার লীগে টানা চার ম্যাচ জয়হীন আর্সেনাল। ১৯৯৫ সালের পরে যা সর্বোচ্চ। প্রিমিয়ার লীগের সেরা চার দল চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সুযোগ পেয়ে থাকে। তবে সবশেষ ধাক্কায় ১৫ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দশম স্থানে নেমে গেছে আর্সেনাল। চারে থাকা চেলসির সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ১০।

আর্সেনালের হয়ে টানা সাত ম্যাচ জয়হীন থাকার কারণে কোচ উনাই এমেরিকে বরখাস্ত করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আর্সেনালের কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রেডি লিউনবার্গকে দেয়া হয় অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব। তবে নতুন কোচও গানারদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি। নিজের প্রথম ম্যাচে নরউইচ সিটির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে হারের লজ্জায় পড়েন লিউনবার্গ। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে ব্রাইটনকে এগিয়ে দেন অ্যাডাম ওয়েবস্টার। তবে ৫০তম মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান আলেকজান্দার লাকাজেত। গানারদের হয়ে এদিন নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নামেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। ৬৫তম মিনিটে দারুণ এক ভলিতে ব্রাইটনের জালে বল জড়ান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ। তবে ভিএআর দেখে সে গোলটি বাতিল করেন রেফারি। এরপরে ম্যাচের ৮০তম মিনিটে নিল মাউপে ব্রাইটনের পক্ষে জয়সূচক গোল করেন।

ম্যাচশেষে আর্সেনালের কোচ লিউনবার্গ বলেন, ‘আমরা প্রথমার্ধে ভালো খেলতে পারিনি। বিরতিতে আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, এটি আর্সেনালের আসল রুপ নয়। আমাদের আরো আক্রমণাত্মক খেলতে হবে। তবে খেলোয়াড়রা আসলে মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিল। টানা এতগুলো ম্যাচ জয়হীন থাকায় তাদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।’