× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা

এক্সক্লুসিভ

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা-বাস্তা গ্রামে ছমিরন (৪৫) নামে এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের পর বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পার্শ্ববর্তী বড় কালিয়াকৈর গ্রামের মৃত আমোদ আলীর পুত্র লোকমান হোসেন (৩৫) প্রতিবন্ধী ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে। লোকমান ঘটনার পর পালানোর সময় রক্তমাখা জামা দেখে স্থানীয়রা ধরে ফেলে ও আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সরজমিন জানা গেছে, গোলাইডাঙ্গা-বাস্তা গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ছমিরন (৪৫) মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে বাবার বাড়িতেই থাকতো। মাঝে-মধ্যেই মাদকাসক্ত লোকমান তাকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনার রাতে পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী বাস্তা মাদরাসায় ওয়াজ শুনতে যায়। এ সুযোগে লোকমান কৌশলে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ শেষে তাকে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
পরিবারের  লোকজন ওয়াজ শেষে ফেরার পথে বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় রক্তমাখা অবস্থায় লোকমানকে দেখতে পায়। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল মজিদ লোকজন নিয়ে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক লোকমানকে গ্রেপ্তার করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের স্ত্রী সেবিকা আক্তার সুমি (৩০) বাদী হয়ে গতকাল লোকমানকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত লোকমান হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর