× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রপ্তানি আয়ে বড় ধস

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার

ধস নেমেছে দেশের রপ্তানি আয়ে। প্রতি মাসেই আয় কমছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স নভেম্বর মাসে। এ মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১০ শতাংশের বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগের মাসেও রপ্তানি আয় ব্যাপকভাবে কমেছিল। ওই মাসে গত বছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছিল ৬.৮২ শতাংশ। নভেম্বরে আয় কমেছে ১০.৭০ শতাংশ।
অন্যদিকে এ মাসের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ১৭.৯০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই’১৯-নভেম্বর’১৯) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি খাতে আয় কমেছে ৭.৫৯ শতাংশ। অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১২.৫৯ শতাংশ কমেছে রপ্তানি আয়।

রপ্তানি আয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে প্রতিটি খাতেই আয় কমেছে। গত ৫ মাসে তৈরি পোশাক খাতে ১ হাজার ৩০৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৭.৭৪ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩.৬৩ শতাংশ কম। গত বছর একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আলোচিত সময়ে ওভেন পোশাকে রপ্তানি আয় কমেছে ৮.৭৪ শতাংশ, আর নিট পোশাকে ৬.৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এই দুই খাতে আয় কমেছে যথাক্রমে ১৮.২০ ও ৮.৯৪ শতাংশ।

জুলাই-নভেম্বর সময়ে চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি খাতেও আয় ব্যাপকভাবে কমেছে। এ সময়ে খাতটি থেকে ৩৯ কোটি ১০ লাখ ডলার আয় হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.০৩ এবং এবারের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯.৮০ শতাংশ কম। আলোচিত সময়ে প্রাথমিক পণ্য (কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ ইত্যাদি) রপ্তানি কমেছে সাড়ে ৪ শতাংশের মতো। তবে এত খারাপ খবরের মধ্যেও একটু আশা জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছে এক সময়ের সোনালী আঁশ খ্যাত পাট। আলোচিত সময়ে পাট খাতে রপ্তানি আয় গত বছরের আয় এবং চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা-দুটোর চেয়েই বেশি হয়েছে। এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫.১৬ শতাংশ এবং কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩.৮৩ শতাংশ বেশি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর