আবদুল লতিফ বাচ্চু অনেক মেধাবী একজন চিত্রগ্রাহককে হারালাম আমরা। সে আমার সন্তানের মতো ছিল। ১৯৬৪ সালে আমার সঙ্গে কাজ করা শুরু করে। দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে। এই রেকর্ড বিশ্বেও বিরল।
আলমগীরআমার অভিনীত প্রথম সিনেমা শ্রদ্ধেয় আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’-তে মাহফুজ আর আমি একসঙ্গে অভিনয়ও করেছিলাম। এই সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফার ছিল মাহফুজ। ও আর আমি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম।
প্রিয় সেই বন্ধু চলে গেল। ১৯৮৫ সালে আমার প্রযোজনায় ‘ঝুমকা’ সিনেমার শুটিং স্পটে কক্সবাজারে মাহফুজ আর শিপ্রা’র প্রথম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করি। কতো স্মৃতি আজ চোখের সামনে বারবার ভেসে উঠছে। দোয়া করি আল্লাহ্ মাহফুজকে বেহেস্ত নসীব করুন।
ববিতা কয়েকদিন আগে আমি কানাডা যাওয়ার আগে মাহফুজ ভাইয়ের সঙ্গে অনেকক্ষণ ফোনে কথা বললাম। পারিবারিকভাবে আমাদের সঙ্গে অনেক ভালো সম্পর্ক উনার। আমার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘পিচ ঢালা পথ’-এ তিনি চিত্রগ্রাহক ছিলেন। অনেক মেধাবী একজন চিত্রগ্রাহক ছিলেন তিনি। আমার নিজের ও রাজ্জাক (নায়করাজ) ভাইয়ের প্রোডাকশনের অনেক ছবিতে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন। অসংখ্য ছবিতে উনার সঙ্গে কাজ হয়েছে আমার।
সুচরিতাতিনি অসুস্থ খবরটা জানার পর থেকেই মনটা খারাপ আমার। আর যখন শুনলাম তাকে আর বাঁচানো গেল না তখন থেকে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেছে। উনার সঙ্গে কাজ করার অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে আজ। সবশেষ এফডিসিতে রফিক শিকদারের পরিচালনায় ‘বসন্ত বিকেল’ ছবির মহরতে দেখা হলো। এ ছবির চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করার কথা ছিল উনার।
চম্পা আমার প্রথম ছবি ‘তিন কন্যা’তে তাকে চিত্রগ্রাহক হিসেবে পেয়েছিলাম। অনেক গুণী একজন মানুষকে হারালাম আমরা। খবরটা শোনার পর থেকে মনটা খারাপ হয়ে আছে। আল্লাহ্ তাকে জান্নাতবাসী করুন।
ওমর সানী‘চাঁদের আলো’ ছবিতে উনার সঙ্গে কাজ করেছি। আমার সৌভাগ্য কিছু বরেণ্য মানুষকে সঙ্গে পেয়েছিলাম। তাদের মধ্যে একজন বিশাল মনের মানুষ মাহফুজুর রহমান খান। যিনি দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। বাবা ডাকতাম আমি। বাবার মৃত্যু কি কোনো সন্তান মেনে নিতে পারে? আমিও পারছি না।
মৌসুমী আমার পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন মাহফুজুর রহমান খান। দেখা হলেই তিনি সব সময় হাসি মুখে কথা বলতেন, খোঁজখবর নিতেন। ক্যামেরা সৈনিক এই মেধাবী মানুষটির মৃত্যুতে অনেক কষ্ট পাচ্ছি।
শাকিব খানকীর্তিমানের মৃত্যু নেই। মাহফুজ ভাই আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য মূল্যবান সম্পদ ছিলেন। তার সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল আমার। তিনি তার কাজের মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ে সব সময় বেঁচে থাকবেন।